Friday, October 11, 2019

★★★প্রচলিত ইসলাম বনাম মোহাম্মাদী ইসলাম আসলে এর সঠিক নাম করন কোনটি ?★★★

★★★প্রচলিত ইসলাম বনাম মোহাম্মাদী ইসলাম
আসলে এর সঠিক নাম করন কোনটি ?★★★

বিশ্বনবী সরওয়ারে কায়েনাত মুফাখ্খারে মওজুদাত হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) মানব জাতির মুক্তির জন্য যে ধর্ম প্রবর্তন করেছেন, তা-ই হলো মোহাম্মাদী ইসলাম। এ সম্পর্কে হাদীস শরীফে বর্ণিত আছেঃ-ইসলামের স্তম্ভ হলো পাঁচটিঃ ১/ কালেমা ২/ নামায ৩/ রোজা ৪/হজ্ব ৫/ যাকাত। ( বোখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফের সূত্রে মেশকাত শরীফ পৃষ্টা - ১২) হযরত মুহাম্মাদ ( সঃ) এর - এ ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত ধর্মই হলো ' মোহাম্মাদী ইসলাম '। আদম ( আঃ) থেকে শুরু করে ঈসা ( আঃ) পর্যন্ত অসংখ্য নবি - রাসূল ইসলাম নামক এ শান্তির বার্তা পথ ভোলা মানুষদের কাছে পৌছে দিয়েছেন, এবং মুক্তির পথ সুগম করে মানুষ অনাবিল শান্তি লাভ করেছেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেনঃ-"নিশ্চয় ইসলাম আল্লাহর একমাত্র মনোনিত ধর্ম " ( সূরা আলে ইমরান - ৩: আয়াত: -১৯) অত্র আয়াতে আল্লাহ সকল নবী - রাসূলদের ধর্মকেই ইসলাম বলে অাখ্যায়িত করেছেন। তবে সকলের ধর্মের কর্ম কান্ড এক নয়, অর্থাৎ একেক জনের ধর্মের শরীযত একেক রকম ছিলো। এবং একেক নবীর উম্মতের কলেমাও একেক রকম ছিলো। যেমন, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আদম শফিউল্লাহ,- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু নূহ নাবিইয়্যুল্লাহ,- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইব্রাহীম খলিলুল্লাহ, ইত্যাদি। সর্ব শেষে আখেরী নবীর উম্মতের কালেমা হলো, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ( সঃ)। আখেরী নবীর আগমনের মাধ্যমে ইসলাম পরিপূর্ণতা লাভ করে ( সূরা আল মাযেদাঃ৫:আয়াত:-৩) বিভিন্ন নবীদের ধর্মের শরীযত ভিন্ন ভিন্ন হওয়ার কারনে বিশ্ব বিখ্যাত তাফসীরকারকগন একেক নবীর ধর্মকে বা শরীযতকে একেক নাম করন করেন, যেমন শরীযতে আদম,বা দ্বীনে আদম, দ্বীনে নূহ,দ্বীনে ইব্রাহীম, ও দ্বীনে মোহাম্মাদী। যারই ফল শ্রুতিতে আইন শাস্ত্রে ইসলামী জীবন বিধান Mohamadan Law হিসাবে পৃথিবীময় স্বীকৃতি লাভ করেছে। মানে মোহাম্মদী আইন বা মোহাম্মদী শরীয়ত। ইতিহাস পর্যালোচনা করলে জানা যায়,মোহাম্মদী ইসলামের স্বর্ণ যুগ ছিলো ৫৩ বছর। নবীজি ( সঃ) এর নবুয়তী জীবনের ২৩ বছর এবং খোলাফায়ে রাশেদীনদের ৩০ বছর। এ দীর্ঘ সময় ধর্ম মোহাম্মদী ইসলাম নামেই বহুল প্রচলিত ছিলো, কিন্তু উমাইয়া শাসনামল থেকে যখন ইসলামী খেলাফতের নাম পরিবর্তন করে উমাইয়া শাসন হিসাবে আখ্যায়িত করা হলো, তখন থেকে এ ধর্মের নাম 'মোহাম্মদী ইসলাম ' থেকে মোহাম্মদ নাম বাদ দিয়ে শুধু ইসলাম রাখা হয়, এবং তখন থেকেই উম্মতে মোহাম্মদী চক্রান্তের বেড়াজালে পতিত হয়। এবং কান্ডারী বিহীন ইসলাম পালন করে আজ আমরা মোহাম্মদী ইসলাম নাম শুনলে চমকে উঠি। অথচ দুনিয়াতে যত ধর্ম, মতবাদ, মাযহাব, তরিকা, ও যত আদর্শ প্রতিষ্ঠিত হযেছে তা ঐ সব আদর্শ প্রবর্তকদের নামানুসারেই নাম করন করা হয়েছে, যেমন : প্রথমে হাদিস বিশারদগনদের নামে হাদীসের কিতাবের নাম করন করা, ১ / ইমাম বোখারীর নামে, বোখারী শরীফ, ২/ ইমাম তিরমিজির নামে, তিরমিজি শরীফ, ৩ আবু দাউদ শরীফ, ৫ / মুসলিম শরীফ, ৬ / ইবনে মাজা শরীফ, ইত্যাদি ইত্যাদি। তেমনি ভাবে তেমনি মাজহাবের ইমামদের নামেও স্বীয মাজহাবের নামকরন করা হয়, যেমন: ১/ হানাফী ২/ শাফেয়ী ৩/ মালেকী ৪/ হাম্বলী। তেমনি ভাবে, তরিকার ক্ষেত্রেও, ১/ ক্বাদরীয়া ২ / চিশতীয়া ৩ / নক্শবন্দীয়া ৪/ মোজাদ্দেদীযা। ইত্যাদি। বাংলাদেশেও ১/ জামায়েত ইসলাম ২ /হেফাজত ইসলাম, তাবলিগ জামাত, ৪ / দাওয়াতে ইসলাম,ইত্যাদি নামে ধর্মকে বিভক্ত করা হয়। কিন্ত আজব ব্যাপার,,, যখনই" মোহাম্মাদী ইসলাম" বলাহয় তখনি আমাদের তা বুঝতে ও চিনতে খুবই কষ্ট হয়। এজন্য সূফী সম্রাট ( মাঃ আঃ) হুজুর বলেন: যিনি আমাদের শান্তির ধর্ম " ইসলাম" দিলেন তার নামে ধর্মের নামকরন ( মোহাম্মদী ইসলাম) করার অযৌক্তিকতা কোথায়? কারন উপরে উল্ল্যেখিত সকল সপ্রদায় তাদের নিজ নিজ নামে তাদের বিধান বা আইনের নাম করন করেছেন।

No comments:

Post a Comment