Friday, October 11, 2019

এরিস্টটল

এরিস্টটল

ছোট্ট একটি গ্রিক কলোনিতে জন্মগ্রহণ করেন এরিস্টটল (৩৮৪-৩২২ বিসি)। চিকিৎসক পিতা আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের দাদার রাজকীয় চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেছেন। যদিও তিনি প্লেটোর ছাত্র ছিলেন কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই প্লেটোর সাথে তার মতবিরোধ আছে। তিনি চার বছর আলেকজান্ডারের শিক্ষকতা করেন। এরপর ৩৩৪ সালে এথেন্সে ফিরে গিয়ে লাইসিয়াম প্রতিষ্ঠা করেন।
এরিস্টটল দার্শনিক অপেক্ষা বিজ্ঞানী হিসেবে বেশি পরিচিত। প্রকৃতির প্রতি ছিল তার গভীর আগ্রহ। তিনিই প্রথম প্রাণী ও উদ্ভিদ এই দুটি শ্রেণীতে জীবজগতকে বিভক্ত করেন। তিনি প্রাণীর অঙ্গসংস্থানবিদ্যা ও আচরণ সম্পর্কে গবেষণা করেছেন। দর্শন সম্পর্কিত প্রথম বই এরিস্টটল রচনা করেন। ল্যাটিন ভাষায় এই বইটি ‘ডি অ্যানিমা’ (De Anima) নামে পরিচিত।


প্লেটোর মতো তিনিও তিন ধরনের আত্মার কথা বলেন। যদিও দুজনের মতবাদের মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য আছে। তিন ধরনের আত্মার মধ্যে একটি উদ্ভিদ প্রাণ। দ্বিতীয়টি প্রাণী, যার মধ্যে মৌলিক চাহিদা, আনন্দ, কষ্ট এই অনুভূতিগুলো থাকবে। সর্বশেষ হচ্ছে মানবিক আত্মা। যেখানে চাহিদার আগে কারণ অগ্রগণ্য।

জ্ঞান চর্চার জন্ম দর্শন থেকেই। চাওয়া আর পাওয়ার মধ্যে যে দূরত্ব তা ব্যাখ্যা করে দর্শন। মানুষের চাহিদার কোনো শেষ নেই কিন্তু দর্শন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে চাহিদার পরিধি। দর্শন বদলে দিতে পারে জীবনের গতি, আগ্রহের দিক। তৈরি করতে পারে কালের মহামানব। সক্রেটিস, এরিস্টটল, প্লেটো এরাই তার প্রমাণ।

No comments:

Post a Comment