আইনষ্টাইনকে সাংবাদিকরা একবার মজা করে জিজ্ঞাসা করেছিল, কেমন লাগে পৃথিবীর সবথেকে মেধাবী হয়ে জীরনযাপন করতে ? আইনষ্টাইনের উত্তর ছিল, আমি জানিনা, নিকোলা তেসলা কে জিজ্ঞাসা করে দেখ কেমন লাগে। আমাদের দুর্ভাগ্য আমাদের স্কুল কলেজ ইউনিভার্সিটির পাঠ্য পুস্তকে নিকোলা তেসলার নাম পাইনি। শুধু আমরা না অধিকাংশ দেশের ষ্টুডেন্ট তার নাম শুনেনি, কারন তার নাম ইচ্ছা করেই জানতে দেয়া হয়নি। কে ছিলেন টেসলা যাকে আইনষ্টাইন পর্যন্ত সমীহ করেছেন। তার ভক্তরা বলে টেসলা আসলে টাইম ট্রাভেলার , ফিউচার থেকে এসেছিলেন। তারা বাড়িয়ে বললেও আসলে এই বিজ্ঞানীর আবিস্কারগুলো ছিল সেবকম । তিনি আজ থেকে ১০০ বছর আগে বলে গিয়েছিলেন আজকের ইন্টারনেট, ইমেইল, মোবাইল, টিভি, কম্পিউটারের কথা। তিনি বলেছিলেন সমস্ত পৃথিবী শক্তির উপর ভাসছে। এবং আমরা সহজেই সেই এনার্জীকে ইউজ করতে পারি ফ্রি যদি আমরা সে্রকম কোন মেশিন বানাতে পারি। তিনি এনার্জী টাওয়ারের ডিজাইন করেছিলেন। মেশিন বানাতে পেরেছিলেন কিনা আমরা জানি না কারন যে ব্যাংকাররা তার গবেষনায় সহযোগীতা করেছিলেন অর্থ দিয়ে তারাই পরে তাকে গৃহবন্দী করে লোকচক্ষুর আড়াল করে ফেলে এবং তার সমস্ত গবেষনা নথি সরিয়ে ফেলে। পৃথিবীর সবথেকে মেধাবী বিজ্ঞানীকে এভাবেই নীরবে দুনিয়া থেকে চলে যেতে হয়। একবার ভাবুন তো যদি তার এনার্জী মেশিন মানুষ পেত তাহলে কি যুগান্তকারী একটি ঘটনা হত মানব ইতিহাসে ! তেলের জন্য যুদ্ধ হত না, লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা খরচ হত না জ্বালানীর জন্য যে কারনে উৎপাদিত পন্যের দাম থাকত এবারেই কম। র্পরিবেশ দুষন হত নাম পরিবহন খরচ যেত কমে….. যাই হোক এ বিষয়ে আরো পরে আসি।
*চাঁদের মাধ্যাকর্ষন ১.৬২ এম/এস স্কয়ার ( ১+৬+২ – ৯ ) । ব্যাসার্ধ ১৭৩৭ কি:মি: ( ১+৭+৩+৭ =১৮/ ১+৮ = ৯ ) । চাঁদ ২৭ দিনে পৃথিবীকে প্রদক্ষিন করে ৭+২ = ৯ ।
*সুর্যের ভর ১.৯৮৯ই৩০ ( ১+৯+৮+৯+৩+০ = ৩০/ ৩+০ =৩ । ব্যাসার্ধ ৬৯৫,৭০০ কি:মি: ( ৬+৯+৫+৭+০+০= ২৭/ ২+৭ = ৯ ।এতক্ষন আলোচনা করে এইটা বুঝাইলাম যে, গত পর্বে আমি যা বলেছিলাম যে আমরা পৃথিবী কিংবা আমাদের জীবন যেভাবে দেখি আসলে বিষয়টা মোটেও সেরকম নয়। আমি বলেছিলাম এই মহাবিশ্ব একটা সিঙ্গেল অপারেটিং সিস্টেমে চলে এবং সেটার ফান্ডামেন্টাল লেভেলের একটা ধারনা দিলাম। আমরা এটাকে programming language বলতে পারি। যদি আপনি জানেন কিভাবে programming code লিখতে হয় তাহলে আপনি যেমন আপনাকে বদলাতে পারবেন তেমন আপনি অন্যদেরকেও বদলাতে পারবেন। hacker দের কথা বলেছিলাম black magic এর কথা বলেছিলাম তারাও এটাই করে। 5G technology দিয়ে frequency Alter করে আপনি না শুধু আপনার ডিএনএ পর্যন্ত উলট পালট করে দেয়া ডাল ভাতের মত সেটাও নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন। মানুষ ভাবে যুদ্ধবিমান দিয়ে, মিসাইল দিয়ে্ই শুধু মানুষ মারা যায় কিন্তু আগামীতে এমন অস্ত্র আসছে যেটা দিয়ে কিছু বুঝে ওঠার আগেই আপনি কিভাবে মরলেন কেন মরলেন সেটাও বুঝতে পারবেন না। আপনারা জেনে অবাক হবেন একদম এই কথাটাই শেষ নবী বলে গিযেছেন। তিনি বলেছেন, শেষ জামানায় মানুষ নিজেও জানবে না সে কেন মারা যাচ্ছে আর যে মারছে সেও জানবে না সে কেন মারছে। আমার কষ্ট করে এভাবে বিস্তারিত কথা লেখার উদ্দেশ্য মোটেও ভয় দেখানোর জন্য না বরং পথ দেখানোর জন্য এবং সত্যটা জানানোর জন্য। আমি ১ম পর্ব তে সারাংশ লিখেছিলাম । এখন লিখছি বিস্তারিত। আমি বলেছিলাম কারা এই পৃথিবী নিয়ন্ত্রন করছে তাদের কথা জানাব, কিভাবে করছে সেটাও জানাব। সামনে কি করবে সেটাও জানাব। আমরা কিভাবে সারভাইভ করব সেটাও জানাব। আমাদের পক্ষে কারা থাকবে তাও জানাব এবং আমাদের ভিতরে তাদের হয়ে কাজ কারা করছে সেটাও জানাব।সবথেকে ভয়ের হল তারা নিজেরাও জানেনা যে তাঁরা আসলে কাদের হয়ে কাজ করছে। কিন্তু তার জন্য ধৈর্য্য ধরতে হবে আরো কিছু দিন নাহলে আপনারা বুঝতে পারবেন না আর মানতেও চাইবেন না কারন আপনাদের এতদিনকার বিশ্বাস আপনারা চরম সত্যের উপলবদ্ধি ছাড়া ভাঙতে পারবেন না। আমার উদ্দেশ্যটাও তাই। এখন থেকে এই সিরিজ শেষ হওয়া পর্যন্ত আপনারা শুধু হতবাকই হবেন ।
এবার আসুন এক পলক দেখে নেই এই ৩, ৬ , ৯ কে তাঁরা কিভাবে পজিটিভ কাজে লাগাচ্ছে এবং সফল হচ্ছে কিনা। নিকোলা টেসলার ভয়াবহ অবসেশন ছিল এই নাম্বারগুলো নিয়ে। আপনাদের কুসংস্কার মনে হতে পারে। তিনি যখন কোন হোটেলে বা কারো বাসায় ঢুকতেন তখন ঢোকার আগে ৩ বার দরজা থুলতেন আর বন্ধ করতেন তারপর ঢুকতেন। যখন খাবারের প্লেট মুছতেন তখন ১৮ টা টিসু ইউজ করতেন ১৮ বার। যখন ওয়েটারকে টিপস দিতেন তখন তত টাকা দিতেন যেটা ৩ দিয়ে ভাগ করা যায়। তিনি ৩ কে এত গুরুত্ব কেন দিতেন ? কারন ৩ হল ত্রিভুজ যার উপরের কোন হল ৯ যেটা হল সোর্স অফ এনার্জী, নীচের ডানের কোন টা হল ৬ যেটা ঋনাত্মক সংখ্যা বা নেগেটিভ সংখ্যা এরং নীচের বামের কোন টা হল ৩ যেটা পজিটিভ সংখ্যা। পারফেক্ট ব্যালেন্স। সৃষ্টিজগতটাও তাই । আলো –অন্ধকার, ভাল-খারাপ, নারী-পুরুষ, ম্যাটার- এন্টিম্যাটার, ডান-বাম, উপর-নীচ। কোরআনেও দেখবেন আল্লাহ বলেছেন তিনি সমস্ত কিছু সৃষ্টি করেছেন জোড়ায় জোড়ায় ( ৩৬: ৩৬)। আমরাও কিন্তু নিকোলা টেসলার মত ওযু করার সময় সব কিছু ৩ বার করে ধুই। এবার বলেন কুসংস্কার । কাকতালীয় ? উহু, পৃথিবীতে কাকতালীয় বলে কোন কিছুর অস্ত্বিত্বই নেই। আমরা যে কোন দোয়া কমপক্ষে ৩ বার পড়ি সেজদায় এবং রুকুতে আর ৩ বার কোন আয়াত পড়ে দোয়া করি এবং ফু দেই তাও সেই ৩ বার। কবর জিয়ারত করার সময়ও আমরা দরুদ ও দোয়া পড়ি ৩ বার। এখন নিশ্চই বুঝতে পারছেন কেন পড়ি ? মোল্লাদের জিজ্ঞাসা করেন বলতে পারবে না কেন পডি ৩ বার। এরকমভাবে নামাযেরও আলাদা মানে আছে কিন্তু মোল্রারা বলতে পারবে না। আমি আরেকটা পর্বে এ বিষয়ে বিস্তারিত লিখব ।এখন দেখি বিশ্বের বড় বড় কোম্পানীগুলোর লোগো আর নামে কিভাবে তারা ভরটেক্স নাম্বার ইউজ করেছে নামের নিউমালরোজী বের করে।কম্পিউটার জায়ান্ট D E L L এর নিউমারলোজী হল 4+5+3+3 = ১৫ / ১+৫ = ৬ ।বিখ্যাত নিউজ চ্যানেল F O X এর নিউমারলোজী হল ৬+৬+৬ = ১৮ / ১+৮ = ৯কম্পিউটার জায়ান্ট I B M এর নিউমারলোজী হল ৯+২+৪ = ১৫/ ১+৫ = ৬বিখ্যাত নিউজ চ্যানেল a b c এর নিউমারলোজী হল ১+২+৩ = ৬AMAZON এর লোগোতে দেখবেন A ও Z এর নীচে একটা স্মাইল চিহ্ন দিয়ে ইনডিকেট করা আছে, এর মানে হল তারা এ টু জেড সব সেল কবে আর A Z এর নিউমারলোজী হল ১+৮ = ৯গুগল ক্রোমের লোগোতে ভাল করে খেয়াল করে দেখবেন তিনটা কালারের 9 অথবা 6 আছে। তাহলে ভরটেক্স নাম্বার হয় ৬+৬+৬= ১৮ /১+৮ = ৯ অথবা ৯+৯+৯ = ২৭/ ২+৭ = ৯ ।কম্পিউটার জায়ানট Apple এর যতগুলি product আছে সবগুলির আগে i লাগানো আছে , যেমন i Mac, i Pod, i Pad, i Phone , i Tune । এই i এর নিউমারলোজী হল ৯ ।WWW বা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব এর নিউমারলোজী হল ৫+৫+৫= ১৫ / ১+৫ = ৬Walt Disney এর নিউমারলোজী ভ্যালু হল ৫+১+৩+২+৪+৯+১+৫+৫+৭ = ৪২ / ৪+২ = ৬কম্পিউটার চীপ জায়ান্ট Intel এর নিউমারলজী হল ৯+৫+২+৫+৩ = ২৪ /২+৪ = ৬কম্পিউটার জায়ান্ট h p এর নিউমারলোজী হল ৮+৭ = ১৫ / ১+৫ = ৬এখন দেখতেই পারছেন এই অবিশ্বাস্য কিভাবে ভরটেক্স নাম্বার ইউজ করছে তাদের কোম্পানীর নাম বা লোগোতে। ভরটেক্স জিওমেট্রি কে ব্যবহার করে আজ ১০০০ বছর ধরে Freemason নামক secret society লোকচক্ষুর আড়ালে তাদেঁর কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তাঁরা যত স্থাপনা বানিয়েছে সব্ই ভরটেক্স জিওমেট্রি অনুসারে। পুরো ওয়াশিংটন ডিসি শহরটা তারা ডিজাইন করেছে এই ভাবে। এবং না বললেও সবাই জানে বিশ্বের সবথেকে ক্ষমতাধর শহর ও দেশ কোনটা কারা প্রভুত্ব করছে বাকি সবার উপর ? আর এটাও কোন নতুন বিষয় নয় । প্রাচীন মিশরীয়রাও জানত এ বিষয়ে। তারা পিরামিড বানিয়েছিল ভরটেক্স জিওমেট্রি দিয়েই । ৩.৬. ৯ এর ত্রিভুজের বড় সংস্করনটাই হল পিরামিড। এবং তারা কি পরিমান ক্ষমতাধর ছিল সেটা তাদের পিরামিড দেখলেই বোঝা যায়। ফেরাইন যে নিজেরে খোদা ভাবত তা এমনি এমনি নয়। এখন অবধি বিজ্ঞানীরা বেরই করতে পারেনি অতবড় স্খাপনা ৪০০০ বছর আগে কিভাবে বানাল যেখানে আধুনিক মেশিন ছিল না তাদের !! ডলারের নোটেই দেখবেন একই পিরামিডের ছবি আর তার উপর একটা চোখের ছবি। ওরা বলে all seeing eye । কিন্তু আমরা জানি সেটা কিসের জন্য, যাক সে কথায় পরে আসা যাবে। এখন যদি জিজ্ঞাসা করি পৃথিবীর সবথেকে শক্তিশালী মুদ্রা কোনটা ? আপনারা বলবেন ডলার। কারন reserve currency হিসেবে সবগুলো দেশ ডলার ব্যবহার করে বা করতে বাধ্য হয়। ডলারে শুধু পিরামিড বা ভরটেক্স জিওমেট্রি ইউজ করেছে বলেই যে সবথেকে শক্তিশালী হয়েছে বিষয়টা এমন না, তবে এটা একটা ফান্ডামেন্টার ফোর্স হিসেবে যে কাজ করে সেটা তো আগেই দেখিয়েছি । ডলাবের সবথেকে শক্তিশালী হয়ে ওঠার গল্পটাও বলব আরেকটি লেখায় ,কারন এটা জানাটা বিশেষ করে আমাদের মুসলিমদের জন্য অসম্ভব জরুরী একটা বিষয় কারন এর সাথে মুসলিম নামধারী কিছু শয়তানের সবথেকে বড় ভুমিকা আছে । আমার এই সিরিজটা লেখার উদ্দেশ্যের পিছনে এদের বিষয়টা মানুষকে জানানোটার ইচ্ছার একটা ভুমিকা আছে । আমি যদি এমনি এমনি তাদের নাম বলি তাহলে কেউ বিশ্বাস করবে না।অনেকে কর্মক্ষেত্র প্রতিষ্ঠা পাবার জন্য নিজের নামের বানানটাও বদলে ফেলে । ভারতীয়রা ব্যাবসায়ীরা বলিউডের বাসিন্দারা এটা বেশী ফলো করে সফলতা লাভ করছে। চাইলে আপনারাও নিকোলা টেসলার মত চেষ্টা করে দেখতে পারেন। বাকিদের যদি হয় তবে আপনাদের বেলায় কেন হবে না ?Freemason দের সর্বচ্চ পদটাকে ৩৩ ডিগ্রী গ্রান্ডমাষ্টার বলে। ৩৩ কেন ? আপনি ৩+৩ যোগ করলে ৬ পাবেন আবার গুন করলে ৯ পাবেন। এ কারনে ৩৩ খুবই শক্তিশালী একটা সংখ্যা। এর আরো একটা কারন আছে যেটা স্পিরিচুয়াল, আমাদের পিঠে ৩৩ টি কশেরুকা আছে । আপনারা হয়ত ভাবছেন তাতে কি ? কিন্তু মানুষের শরীরই হল সব কিছুর আধার । যা আছে মহাবিশ্বে তাই আছে আমাদের শরীরে। সাগরের এক বিন্দু পানিতে যেমন সাগরের সব পানির গুনাগুন বিদ্যমান তেমনি আমাদের শরীরে সমগ্র মহাবিশ্বের অস্তিত্ব বিদ্যমান। শরীয়তি মোল্লাদের এ বিষয়ে জ্ঞান নেই তাই আপনার জানেন না। হযরত আলী আ: বলেছেন , “মান আরাফা নাফসাহু ফাকাদ আরাফা রাব্বাহু” অর্থাৎ “ যে নিজের নফস কে চিনেছে সে তার রবকে চিনেছে “ এবং তিনি এও বলেছেন. যে নিজের রবকে জেনেছে সে সব জেনেছে এবং যে নিজের রবকে জানেনি সে কিছুই জানেনি। কোরানেও দেথবেন আল্লাহ বলছেন, “ আমরা তাদের মহাধমনীর থেকেও কাছে।“ ( ৫০: ১৬) হযরত আলী আ: কে অনেকে শুধু ৪র্থ থলিফা হিসেবেই জানে কিন্তু তার মর্যাদা খলিফা থেকে বহু বহু উপরে। তার বিষয়ে লিখে শেষ করা যাবে না। শুধু এটুকু্ই বলি তিনিই পৃথিবীর একমাত্র ব্যক্তি যার জন্ম কাবা ঘরের অভ্যন্তরে এবং তার ১ম খাবার ছিল রাসুল সা: লালা মোবারক । এবংপুরুষদের ভিতর তিনিই বিশ্বের ১ম মুসলিম যিনি কখনোই মুর্তি পুজা করেননি কিন্তু বাকী সবাই ছিল মুর্তি পুজারী থেকে কনভার্টেট মুসলিম। রাসুল সা: বলেছেন, “আমি জ্ঞানের শহর আর আলী সেই শহরে ঢোকার দরজা আর আমার কাছে আসতে হলে আলীর দরজা দিয়ে আসতে হবে।“ এখানে জ্ঞানের শহর বলতে আধ্যাতিকতা বুঝিয়েছেন । এবং আলী আ: পৃথিবীর সমস্ত আধ্যাত্নিক তরিকার মহাগুরু । তার থেকেই শুরু । তাঁর বিষয়ে আর বলছি না যদি কখনো সুযোগ হয় লেখার ভিতরে তাহলে তাঁর কথা বলব।
যাই হোক, এই ৩৩ সংখ্যা নিম্ন জগত এবং উর্দ্ধজগতের মধ্যকার সিড়ি। বস্তুজগত এবং আধ্যাত্নিক জগতের মধ্যকার ধাপসমুহ। যাদের এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না তাদের বলি, আমরা ফরজ নামায শেষে কেন ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ. ৩৩ বার সুবাহানাল্লাহ. ৩৩ বার আল্লাহুআকবর পড়ি ? কেন ২৫ বার বা ৩৭ বার পড়ি না ? রাসুল সা: রলেছেন যারা জান্নাতি তাঁরা সবাই ৩৩ বছরের যুবকের ন্যায় হয়ে থাকবে। এর মানে কি ? এটার আরো গভীর বিষয় আছে সেটা বলা উচিত হবে না তাই বলব না।
মুসলিমরা যতদিন আধ্যাত্নিকতার সাথে সমান্তরাল ভাবে জীবন যাপন করেছে ততদিন তাঁরা সারা পৃথিবী শাসন করেছে কিন্তু যেদিন থেকে তাঁরা আধ্যাত্নিকতা ত্যাগ করেছে সেই দিন থেকে তারা রাজত্ব হারিয়ে দাসে পরিনত হয়েছে এবং তারা যাতে আর রাজত্ব ফিরে না পায় তার সকল পথ বন্ধ করে দিয়েছে। কিভাবে দিয়েছে সেটা না জানলে কিভাবে ফিরে পাবেন আর কিভাবেই বা যুদ্ধ করবেন? আল্লাহ আর তাঁর রাসুল যদি সত্যই মুসলমানদের পক্ষে থাকত তাহলে কি মুসলিমদের এই দশা হয়? তাঁরা আমাদের ত্যাগ করেনি বরং আমরা তাঁদের ত্যাগ করেছি। যেতে হবে উত্তরে কিন্তু দক্ষিনে চলছি গন্ডমুর্খ মোল্লাদের পিছু পিছু আল্লাহ আল্লাহ করতে করতে। যে কারনে পারমানবিক শক্তির অধিকারী হয়েও পাকিস্তান আজ দেউলিয়ার দ্বারপ্রান্তে। আপনাদের কি মনে হয় শুধু অস্ত্র আর লোকবল দিয়ৈই যুদ্ধে জেতা যায় ? অন্যভাবে যায় না ? তাহলে পৃথিবীর সবগুলো শক্তিশালী দেশ মিলেও গত ৪০ বছর যাবত ইরানের সাথে কেন পারছে না ? গত ৪০ বছরে ধরেই তারা কোন না কোন অবরোধের শিকার তবুও তারা দিন দিন উন্নতি করছে। কেন ইসরাইলের মত শক্তিশালী দেশ হিজবুল্লাহর মত পুচকের সাথে পারে না বরং ভয় পায় ? আপনারা এখন এ যুক্তি সে যুক্তি হাজির করবেন যেটা সত্যের ধারে কাছেও যাবে না। তার থেকে আপনাদের দুটি সত্য ঘটনা জানাই তাহলে বুঝবেন আরো কত ভাবে কি করা যায়। চেচনিয়ার প্রেসিডেন্ট রমাজান কাদিরভের নিজের ঘটনা এটা। রাজধানী গ্রোজনীতে রাশিয়ান আর্মির সাথে চেচেনদের তুমুল লড়াই চলছে. রাশিয়ানরা আস্তে আস্তে তাদের আর্টিলারী আর ট্যাংক দিয়ে বৃত্ত ছোট করছে বিপুল বিক্রমে। ধীর কিন্তু নিশ্চিত পদক্ষেপে তারা চুড়ান্ত বিজয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে । উপরে হেলিকপটার গানশিপ অনবরত বোম্বিং করে একের পর এক বেরিকেড ভেংগে চুরমার করছে পদাতিক বাহিনি কে পথ করে দিচ্ছে্। যে কোন সময় রাজধানীর পতন হবে। আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত ৮০০০ রাশিয়ানরা সোলজার । আর ওদিকে চেচেনরা মাত্র ৪০০ ! জ্বী ঠিকই শুনেছেন মাত্র ৪০০ জন চেচেন মুসলিম AK 47 আর কিছু মর্টার, এন্টি ট্যাংক মিসাইল, হেভী মেশিনগান ছাড়া কিছু আর অবশিষ্ট নেই। কিন্তু অবিশ্বাস্য বিষয় হল এই অসম যুদ্ধে চেচেনরাই জয়ী হয়েছিল, ২০০০ রাশিয়ার সোলজার মারা গিয়েছিল পুরো আর্টি লারী ধ্বংস হয়েছিল। তো কিভাবে সম্ভব হল এই বিজয় ? কাদিরভ বলেছেন সেই কথা । বিশ্বের বাকী অনেক দেশের মতই চেচেনিয়াতেও ইসলামের প্রচার করেছিলেন আহলে বাইতের সদস্য সুফিরা। সেই তরিকারই একজনের অনুসারী চেচেনরা। প্রতিদিন রাতে তারা সবাই একসাথে হয়ে জিকির করতেন দরুদ পড়ে। জিকির করতে করতে যখন এমন একটা সময় আসত যখন সবার আওয়াজ মনে হত একটাই আওয়াজ সবার হার্টবিট মনে হত একটাই। সবার নিশ্বাস মনে হত একটাই তখন তারা জিকির থামাতেন। উনি বলছেন আমাদের রাশিয়ানরা দেখতে পেত না যখন আমরা হামলা করতাম। কেমন করে যেন সব আগে থেকেই আমরা যেমন পরিকল্পনা করতাম সেই মতই হত। চেচেনিয়ায় ৭০০০০ হাজার রাশিয়ান সোলজার ছিল আর বিপক্ষে ছিল শুধু ৬০০০ চেচেন । অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র আর বিপুল পরিমান সেনাবাহিনী হার মানতে বাধ্য হয়েছিল।হিজবুল্লাহর হাসান নাসারুল্লাহ বলেন ইসরাইল যেদিন হামলা করল সেদিন তারা স্কুলে হামলা করত বাচ্চাদের উপর যাতে আমরা বেরিয়ে এসে ওদের বিমানের আওতায় পড়ি। কিন্তু আমাদের হৃদয় ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেলেও আমরা বাইরে বের হইনি কারন আমি রাতে নির্দেশ পেলাম আমাকে হামলা করা থেকে বিরত থাকতে বলা হল। আমি এখানে উল্লেখ করলাম না যে উনি কার কাছ থেকে নির্দেশ পেতেন কারন অনেকের বদহজম হবে। যাই হোক তিনদিন পর আমরা অনুমতি পেলাম এবং যখন আমরা ইসরাইলিদের এটাক করতাম তখন তারা সব সময়ই কেমন যেন উদভ্রান্তের মত আচরন করত। আমরা তাদের যেখানে চাইতাম তারা ঠিক সেখানেই থাকত আর হামলা করলেই পালাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ত। সেই যুদ্ধে বিপুল ক্ষয়ক্ষতির কথা ইসরাইল এখন পর্যন্ত ভোলেনি।যদি কেউ খেয়াল করে থাকেন তাহলে দেখবেন ইরানের সেনাবাহিনীর ও একই কাজ করে যুদ্ধ অভিযানের আগে কিংবা কোন যুদ্ধাস্ত্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও তারা একই কাজ করে। দলবেধে দরুদ পড়ে। নেট খুজলে কিছু ভিডিও পেলেও পেতে পারেন। আর আমাদের দেশে উল্টো হয় । দরুদের অনুষ্ঠানকে বিদাত, শিরকের ফতোয়া দিয়ে হামলা করা হয়। যারা এই ফতোয়া দিয়ে বেড়ায় তাদেরকে সবাই চেনেন। তারা কাদের হয়ে কাজ করে বুঝে নেন এবার। পরে আপনাদেরকে সে ব্যাপারে কোন পর্বে বিস্তারিত প্রমান সহকারে লিখে দেব এবং দরুদ ও দোয়া কিভাবে কাজ করে সে বিষয়েও বিস্তারিত বিজ্ঞান দিয়েই প্রমান দিয়ে দেব।বদরের যুদ্ধেও আমরা একই ঘটনা দেখতে পাই । মুসলিমদের কাছে ঘোড়া ছিল তিনটা মোটে, তীর ধনুক ছিল কয়েকজনের কাছে আর কিছু তরবারী আর খালী পেটের ৩১৩ জন মুমিন। আর কুরাইশরা ছিল ১০০০ হাজারের উপরে, ঘোড়া ছিল ২০০ । ওরা মুসলিমদের অবস্থা দেখে হাসাহাসি করছিল কিন্তু বিজয়ী কিন্তু মুসলিমরা্ই হয়েছিল। আল্লাহ ফেরেশতা দিয়ে মুসলিমদের হেল্প করেছিলেন। কুরাইশরা দেখল হঠাৎ উচু উচু ঘোড়ায় চড়ে লাল লাল লম্বা লম্বা মানুষ তেড়ে আসছে , তাই দেখেই কুরাইশরা ভয় পেয়ে পালিয়ে গিয়েছিল।পারসিয়ানদের কিংবা রোমানদের সামনে মুসলিমরা ছিল ভুখানাঙ্গা দের মত কিন্তু এখানেও আমরা একই ঘটনা দেখতে পাই। কিন্তু এখন যারা পৃথিবীকে নিয়ন্ত্রন করছে তারাও একই পদ্ধতিতে করছে কিন্তু ভিন্ন ভাবে এবং তারা এটাও নিয়ন্ত্রন করছে মুর্খ মুসলিমরা যাতে মুর্খই থাকে চিরকাল । এবং এটা তারা গত ৩০০ বছর ধরেই করছে। এটা একটা বিশাল ষড়যন্ত্র ,পরে লিখব সেই বিষয়ে।
শুধু এক ইংলন্ডেই freemason দের ৭০০ লজ রয়েছে এবং ২০০০০০ লাখের উপর মেম্বর রয়েছে। বাকি সব দেশেই তাদের লোকজন আছে কিন্তু এরা black magic করে না। এদের কথা এই কারনে বললাম কারন এরাও মুল দলের সাথে কাজ করে থাকে। এদের জ্ঞানটাকে মুল দলটা কাজে লাগায়।
আমি আজকের পর্বে সংখ্যাতত্ব নিয়ে আলোচনা করলাম এবং সংক্ষিপ্তভাবে বোঝানোর চেষ্টা করলাম এগুলোর গুরুত্ব এবং আপনাদের অতি পরিচিত এই দৃশ্যমান বস্তুজগতের পিছনের আরেকটি জগতকে উপস্থাপন করলাম, বোঝনোর চেষ্টা করলাম এই বস্তুজগতটার স্বরুপটা কেমন বা ডিজাইন কেমন এবং কিভাবে অপারেট করছে এবং জানালাম কিভাবে এটাকে কাজে লাগানো যায় খুরই সংক্ষিপ্তভাবে। এটা এত বড় আর গভীর বিষয় যে শুধু এব উপরেই কয়েকটা বই লেখা হয়ে যাবে তাও শেষ হবেনা।
তো যিনি এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছেন এরকম সংখ্যার জটিল জাল দিয়ে তিনি যদি সেই আল্লাহই হয়ে থাকেন তাহলে তিনি কি তার শেষ রাসুল কে দিয়ে তার শেষ আসমানী কিতাবে সেই সংখ্যাতত্বের ব্যাপারে কিছু বলেননি ? এর উত্তর হল, জ্বী অবশ্যই । জেনে শুধু অবাক নয় বরং থ বনে যাবেন । পুরো কোরানটাই হাজার হাজার সংখ্যার জটিল জাল দিয়ে আষ্টেপৃষ্ঠে এমনভাবে বাধা যে যখন আপনি এটা জানবেন তখন মনে হবে ৩০০ কিমি স্পিড নিয়ে কোন বিশাল ট্রেন আপনাকে ধাক্কা মেরেছে। অন্তত আমার অনুভুতিটা এরকমই হয়েছিল ৯০ এর দশকে যখন আমি প্রথম জেনেছিলাম । সেটার সামান্য এক চিলতে আজকে আপনাদেরকে জানাব বাকিটা আগামী পর্বের জন্য তোলা থাক।আপনাদের বলেছিলাম গোল্ডেন বেশিওর কথা এবং বলেছিলাম পৃথিবীরও গোল্ডেন রেশিও আছে, মনে আছে ? সেটা হল মক্কা । মক্কা হতে দক্ষিন মেরুর দুরত্ব ১২৩৬১.১৭ কি : মি: এবং মক্কা হতে উত্তর মেরুর দুরত্ব ৭৬৩৯.৫০ কি : মি : । এখন উত্তর মেরু দিয়ে. দক্ষিন মেরুর দুরত্ব ভাগ করলে পাবেন ১.৬১৮ ! অবাক লাগছে তাই না ? ছবিতে যে লোগোটা দেখছেন সেটা Freemason রা ব্যবহার করে।৩ তৃতীয় পর্ব
No comments:
Post a Comment