Sunday, October 13, 2019

মোজাদ্দেদ কাকে বলে??


মোজাদ্দেদ কাকে বলে??

আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, আমি হযরত রাসুল পাক (সাঃ) হতে শুনেছি যেঃ "আল্লাহ তায়ালা এই উম্মতের (মঙ্গলের) জন্য প্রত্যেক শতাব্দী শেষে এমন এক ব্যক্তিকে পাঠাবেন, যিনি দ্বীনকে তাজদীদ করবেন। " তাজদীদ অর্থ কোন জিনিসকে নতুন করা অর্থাৎ সংস্কার করা। এখানে দ্বীনকে নতুন করা - এর অর্থ দ্বীনে যে সকল কুসংস্কার বা বেদায়াত প্রবেশ করবে তা হতে তিনি দ্বীনকে মুক্ত করবেন। অর্থাৎ কোরআন ও হাদীসের নির্ধারিত সীমা রেখার মধ্যে মানুষকে আবদ্ধ করার চেষ্টা করবেন। যিনি এরূপ কাজ করেন তাকে বলা হয় "মোজাদ্দেদ "।
.
-আবু দাউদ শরীফ

আল্লাহর পরিচয়

আল্লাহর পরিচয় 

দুনিয়াতে থেকেই আমাদেরকে সাধনা করতে হবে কিভাবে আমরা রাসূলের পরিচয় লাভ করবো, আল্লাহর পরিচয় লাভ করবো। আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূলের পরিচয় লাভ করলে আমরা কামিয়াব হবো, আমরা বিজয়ী হবো।

We've to go through diligent spiritual meditation so as to we can experience the identity of the Prophet(SM),we can experience the identity of Allah in this very earthly life.Our ultimate success and victory surely lies in experiencing the identity of Allah and His Prophet(SM).
Image result for আল্লাহর পরিচয়

Saturday, October 12, 2019

মোর্শেদ

মোর্শেদ ঐ ব্যাক্তিকে বলে যিনি নিজে সাধনা করে আল্লাহ ও রাসুল (স:) কে পেয়েছেন, এবং তার অনুসারীদের আল্লাহ পর্যন্ত পৌছে দিতে সক্ষম।

Friday, October 11, 2019

সর্বকালের সর্বশ্র্রেষ্ঠ অনুসরনীয় ও অনুকরনীয় ব্যক্তিত্ব হচ্ছেন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।

হাদিসে কুদসিতে এরশাদ

হয়েছে,

"লাওলাকা লামা খালাক্তুল
আফ্লাক।"
অর্থাৎ "(হে হাবিব!)
আমি আপনাকে সৃষ্টি না করলে কোন কিছুই সৃষ্টি করতাম
না।" (সিররুল-আসসার,
পৃষ্ঠা-৭০)
কুরআনে আল্লাহ্ এরশাদ
করেন,
"ওআমা আরসালনাকা ইল্লা- রাহামাতাল্লিল
আলামিন।"
অর্থাৎ
"আমি আপনাকে জগত-
সমূহের রহমত
হিসাবে প্রেরণ করেছি।" (সূরা- আল
আম্বিয়া; আয়াত-
১০৭) "আলম" শব্দ'টি এক
বচন
এর বহু বচন হল
"আলামিন"। "আলম"
বলতে একটা পৃথিবী-
কে বুঝায় আর "আলামিন"
বলতে সমগ্র পৃথিবী-
কে বোঝায়।
আর আল্লাহ্ হযরত রাসুল (সাঃ)- কে বলেছেন, "
"ওআমা আরসালনাকা ইল্লা-
রাহামাতাল্লিল
আলামিন।"( "আমি আপনাকে সমগ্র
জগত-সমূহের রহমত
হিসাবে প্রেরণ করেছি।")
কুরআনে আল্লাহ্ ফরমান,
"আল
হামদুলিল্লাহি রাব্বিল
আলামিন।"
অর্থাৎ, "সকল প্রশংসা আল্লাহ্-
তাআলার যিনি জগত-
সমূহের প্রতি-পালক"।
(সূরা-আল ফাতিহা-১)
অর্থাৎ, আল্লাহ্ যেমন
একটা পৃথিবীর জন্য নয় সমগ্র সৃষ্টি জগতের
মালিক, তদ্রুপ রাসুল
(সাঃ)- হলেন
সমগ্র সৃষ্টি জগতের জন্য
রহমত। অথচ অন্য
নবীদের কে শুধু মাত্র
পৃথিবী নামক গ্রহের
জন্য, তাও নির্দিষ্ট
সম্প্রদায়ের জন্য
পাঠানো হয়েছিল।
কিন্তু হযরত রাসুল(সাঃ)
সারা জাহানের জন্য
প্রেরিত হয়েছেন।
যা কপনাতেও ভাবা যায়
না তিনি কতো বর
মহামানব। আমদের মাথার সাধারণ ব্রেইন
দিয়ে কখনোই হযরত
রাসুল(সাঃ)-এর
মর্যাদা বিচার
করতে পারব না । হযরত
রাসুল(সাঃ) বলেছেন, "মহিমান্নিত
আল্লাহ্
সর্ব-প্রথম আমার নূর
সৃষ্টি করেছেন।"
(তাফসীরে-রুহুল বয়ান,
২য় খণ্ড, পৃষ্ঠা-৩৭০) রাসুল(সাঃ) আরো বলেন,
"আদম যখন কাদা মাটি-
তে ছিল তখনও
আমি নবী ছিলাম"। -(আল-
হাদিস)
আমরা জানি সর্ব-প্রথম আল্লাহ্ আদম(আঃ)-
কে মাটি দিয়ে সৃষ্টি করেছেন,
অথচ হযরত রাসুল(সাঃ)-
কে আদম
সৃষ্টির বহু
পূর্বে আল্লাহ- তাআলা সৃষ্টি করেছেন।
সুতরাং রাসুল(সাঃ)-
হলেন নূরের তৈরি,
যেহেতু আদম(আঃ)- ই প্রথম
যাকে আল্লাহ্
মাটি দিয়ে বানিয়েছেন। এর
আগে আল্লাহ্
মাটি দিয়ে কাওকে তৈরি করেননি।
তাই হযরত রাসুল(সাঃ)
বলেছেন,
"আমি আদম(আঃ)-এর সৃষ্টির ১৪- হাজার বৎসর পূর্ব
হতে আল্লাহ্র
সম্মুখে নূর-
হিসাবে অবস্থান
করেছিলাম।"
(তাফসীরে-রুহুল বয়ান, ২য় খণ্ড, পৃষ্ঠা-৩৭০)
***তাই রাসুল(সাঃ) হলেন
নূরের*** রাসুল(সাঃ)- শুধু
উম্মতে মোহাম্মদীর
জন্যই শাফায়াত-
কারী নন, তিনি সকল নবী- রাসুলদেরও
শাফায়াত-
কারী এবং সাক্ষীদাতা।
রাসুল(সাঃ) কোন নবী-
রাসুলদের
অনুমতি না দিলে তারা তাদের নিজ উম্মতের জন্যও
শাফায়াত বা সুপারিশ
করতে পারবে না। তাই
কুরআনে এরশাদ
হয়েছে, "বিচার
দিবসে আমি প্রত্যেক উম্মতের মধ্যে তাদের
একজন (নবী) সাক্ষী দাড়
করব
এবং আপনাকে [রাসুল
(সাঃ)] আমি তাদের
সত্তায়নকারী সাক্ষী হিসাবে আনয়ন করব।" (সুরা-আল নামল;
আয়াত-৮৯) তাই
চিন্তা করে দেখুন,
আমাদের দয়াল রাসুল
(সাঃ)-এর সম্মান-
মর্যাদা কতো বেশি। হযরত রাসুল(সাঃ)
ফরমান, আল্লাহ্-
তাআলা সর্ব-প্রথম আমার
নূর সৃষ্টি করেছেন,
আমি আল্লাহ্র নূর
থেকে আর সমগ্র সৃষ্টি - রাজি আমার নূর থেকে।"
তাইতো আল্লাহ্
হাদিসে কুদসিতে বলেছেন,
"আমি আমার
চেহারা মুবারকের নূর
দ্বারা হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)-কে সৃষ্টি করেছি।"
(সিররুল-আসসার, পৃষ্ঠা-৩)
আমাদের নবীজির
মর্যাদা কতো বেশি,
রাসুল(সাঃ)- আল্লাহ্র
কতো প্রিয়...... আল্লাহ্ বলেন, "হে রাসুল
(সাঃ)! নিশ্চয়ই
যারা আপনার
কাছে বায়াত গ্রহণ
করেছে, তারা আল্লাহ্র-
ই কাছে বায়াত গ্রহণ করেছে। তাদের
হাতের উপর
রয়েছে আল্লাহ্র হাত।
(অথচ সাহাবায়ে-
কেরাম দেখেছেন
তাদের হাতের উপর রয়েছে রাসুল(সাঃ)-এর
হাত) ।" (সূরা- আল
ফাতাহ-৪৮;
আয়াত-১০) আল্লাহ্
অরো বলেন,
"হে মাহবুব(সাঃ)! আপনি বদরের
যুদ্ধে যে কঙ্কর নিক্ষেপ
করেছেন,
তা আপনি নিক্ষেপ
করেননি; বরং আল্লাহ্
নিজেই নিক্ষেপ করেছেন।" (অথচ
সাহাবায়ে- কেরাম
দেখেছেন রাসুল(সাঃ)
বালি নিক্ষেপ করেছেন)
(সূরা- আল আনফল;
আয়াত-১৭) তাই দেখা যায় রাসুল
(সাঃ)-এর হাতই ছিল
আল্লাহ্র হাত।
তিনি যুগে যুগে এই
পৃথিবীতে আগমন
করে মানব- জাতিকে উদ্ধার
করে থাকেন। আর তাই
রাসুল(সাঃ)-হলেন
"হায়াতুন্নবি"........
ইবনে আব্বাস (রাঃ)-
হতে বর্ণিত। তিনি ফরমান, " হযরত
রাসুল(সাঃ)
নবীগণের পৃষ্ঠ-
দেশে বার বার জগতের
বুকে তাসরিফ গ্রহণ
করেছেন, পরিশেষে তিনি স্বীয়-
মাতা আমিনা(আঃ)-এর
কোলে তাশরিফ গ্রহণ
করেন।" (তাফসীরে-
দুররে মানসুর- ১৯ত্ম
খণ্ড, পৃষ্ঠা-৩৩২) তিনি যে সকল নবীগণের
সাথে ছিলেন তা আয়াত
দ্বারাই বোঝা যায়।
হযরত রাসুল(সাঃ) বলেন,
"আমি আদম সন্তানদের
প্রত্যেক যুগের উত্তম শ্রেণীতে প্রেরিত
হয়েছি; অতঃপর ওই
যুগে প্রেরিত
হয়েছি যে যুগে আমি বর্তমানে আছি।" (বুখারি শরীফ
১ম খণ্ড,
পৃষ্ঠা-৫০৩; মেশকাত- শরীফ-এর ৫১১পৃষ্ঠা,;
মুসনাদে-আহমদ ৯ম খণ্ড,
পৃষ্ঠা-২৫ & ২৬;
তাফসীরে মাজারি ১ম
খণ্ড, পৃষ্ঠা-১৩৪) হযরত
রাসুল(সাঃ)- যে সব নবীর মাঝে ছিলেন,
তিনি যে নূরের
এবং আদম(আঃ) থেকে শুরু
করে এক লাখ ২৪-হাজার
নবি-
রাসুলদের সবার মাঝে যে তিনি ছিলেন
তা কুরআনের পরিষ্কার
দলিল-প্রমান
পাওয়া যায়। রাসুল
(সাঃ) যে সব নবীর
মাঝে ছিলেন এবং তিনি সব কিছু
প্রত্যক্ষ করেছেন
তা আল্লাহ্ "আলাম-তারা"
শব্দ টি দ্বারা প্রকাশ
করেছেন। আল্লাহ্
পবিত্র কুরআনে বলেছেন,
"আলামতারা কাইফাফা আলা রাব্বুকা..........."
অর্থাৎ,
আপনি কি দেখেন নাই
আমি কিভাবে "আদ-সামুদ"
জাতি-কে ধ্বংস করে দিয়েছিলাম। এই
ঘটনা রাসুল(সাঃ)-এর
জন্মের
বহু আগের ঘটনা। রাসুল
(সাঃ)
যদি সেখানে উপস্থিত না থাকতেন,
তাহলে কিভাবে আল্লাহ্
বলেন
"আপনি কি দেখেন নাই" ।
আর এই "আলামতারা" অর্থ
"আপনি কি দেখেন নাই"। যখন আল্লাহ্ নবীদের
ঘটনা বর্ণনা করছিলেন
তখন
রাসুল(সাঃ)-কে উদ্দেশ্য
করে "আলামতারা"
অর্থাৎ, "আপনি কি দেখেন নাই"
শব্দটি ব্যবহার
করেছেন।
(বিঃদ্রঃ- কুরআনে ৩১-
বার আল্লাহ্
"আলামতারা" অর্থাৎ, "আপনি কি দেখেন নাই"
শব্দটি ব্যবহার
করেছেন) এতে স্পষ্ট
বোঝা যায়
হযরত রাসুল(সাঃ)-সকল
যুগে সকল নবি-রাসুলদের মাঝে ছিলেন, আছেন
এবং থাকবেন।
তাইতো তিনি বলেছেন,
"আমি আদম সন্তানদের
প্রত্যেক যুগের উত্তম
শ্রেণীতে প্রেরিত হয়েছি; অতঃপর ওই
যুগে প্রেরিত
হয়েছি যে যুগে আমি বর্তমানে আছি।"
তাই রাসুল(সাঃ)-হলেন
সৃষ্টি-জগতের
সর্বকালের, সর্ব-শ্রেষ্ঠ মহা-মানব...... ****রাসুল
পাক (সাঃ)-
যে সর্বকালের, সর্ব-
শ্রেষ্ঠ মহা-মানব
তা খ্রিস্টান-
বিধর্মীরা পর্যন্ত অকপটে স্বীকার
করতে বাধ্য
হয়েছেন। খ্রিস্টান ও
পশ্চিমা দৃষ্টিভঙ্গি:
প্রখ্যাত ইংরেজ
বৈজ্ঞানিক মি. এডওয়ার্ড টিম্বার
প্রৃথিবীর
মহাপুরুষগণের
মধ্যে শ্রেষ্ঠ ১৭ জন
মহাপুরুষের
নাম the faith and Favour পুস্তকে লিপিবদ্ধ
করেছেন।
তন্মধ্যে প্রিয় নবিজীর
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম
এর নাম প্রথমে স্থান পেয়াছে। নোবেল
বিজয়ী চিন্তাবিদ
প্রখ্যাত সাহিত্যিক
জর্জ বার্নার্ডশ
রাখঢাক না করেই
বলে গিয়েছেন, বিশ্ববাসী!
যদি তোমরা নিজেদের
সমস্যা সমাধান
করতে চাও
এবং সর্বাঙ্গীন সুন্দর
জীবন ব্যবস্থা কামনা করো,
তবে বিশ্ব-সংসারের
নিয়ন্ত্রন ভার
মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম
এর হাতে ছেড়ে দাও।
বিশিষ্ট ঐতিহাসিক
জোসেফ হেল বলেন,
মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম
এমনই একজন মহান ব্যক্তি ছিলেন,
যাকে না হলে বিশ্ব
অসম্পুর্ন
থেকে যেতো।
তিনি নিজেই নিজের
তুলনা। তাঁর কৃতিত্বময় ইতিহাস মানব জাতির
ইতিহাসে এক সমুজ্জল
অধ্যায়
রচনা করেছে।
আমেরিকার
শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে­­ র
ইহুদী প্রফেসর জুল
ম্যাসারমান
বলতে বাধ্য হয়েছেন
যে,
সর্বকালের সর্বশ্র্রেষ্ঠ অনুসরনীয়
ও অনুকরনীয় ব্যক্তিত্ব
হচ্ছেন হযরত মুহাম্মদ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম।

★★★প্রচলিত ইসলাম বনাম মোহাম্মাদী ইসলাম আসলে এর সঠিক নাম করন কোনটি ?★★★

★★★প্রচলিত ইসলাম বনাম মোহাম্মাদী ইসলাম
আসলে এর সঠিক নাম করন কোনটি ?★★★

বিশ্বনবী সরওয়ারে কায়েনাত মুফাখ্খারে মওজুদাত হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) মানব জাতির মুক্তির জন্য যে ধর্ম প্রবর্তন করেছেন, তা-ই হলো মোহাম্মাদী ইসলাম। এ সম্পর্কে হাদীস শরীফে বর্ণিত আছেঃ-ইসলামের স্তম্ভ হলো পাঁচটিঃ ১/ কালেমা ২/ নামায ৩/ রোজা ৪/হজ্ব ৫/ যাকাত। ( বোখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফের সূত্রে মেশকাত শরীফ পৃষ্টা - ১২) হযরত মুহাম্মাদ ( সঃ) এর - এ ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত ধর্মই হলো ' মোহাম্মাদী ইসলাম '। আদম ( আঃ) থেকে শুরু করে ঈসা ( আঃ) পর্যন্ত অসংখ্য নবি - রাসূল ইসলাম নামক এ শান্তির বার্তা পথ ভোলা মানুষদের কাছে পৌছে দিয়েছেন, এবং মুক্তির পথ সুগম করে মানুষ অনাবিল শান্তি লাভ করেছেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেনঃ-"নিশ্চয় ইসলাম আল্লাহর একমাত্র মনোনিত ধর্ম " ( সূরা আলে ইমরান - ৩: আয়াত: -১৯) অত্র আয়াতে আল্লাহ সকল নবী - রাসূলদের ধর্মকেই ইসলাম বলে অাখ্যায়িত করেছেন। তবে সকলের ধর্মের কর্ম কান্ড এক নয়, অর্থাৎ একেক জনের ধর্মের শরীযত একেক রকম ছিলো। এবং একেক নবীর উম্মতের কলেমাও একেক রকম ছিলো। যেমন, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আদম শফিউল্লাহ,- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু নূহ নাবিইয়্যুল্লাহ,- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইব্রাহীম খলিলুল্লাহ, ইত্যাদি। সর্ব শেষে আখেরী নবীর উম্মতের কালেমা হলো, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ( সঃ)। আখেরী নবীর আগমনের মাধ্যমে ইসলাম পরিপূর্ণতা লাভ করে ( সূরা আল মাযেদাঃ৫:আয়াত:-৩) বিভিন্ন নবীদের ধর্মের শরীযত ভিন্ন ভিন্ন হওয়ার কারনে বিশ্ব বিখ্যাত তাফসীরকারকগন একেক নবীর ধর্মকে বা শরীযতকে একেক নাম করন করেন, যেমন শরীযতে আদম,বা দ্বীনে আদম, দ্বীনে নূহ,দ্বীনে ইব্রাহীম, ও দ্বীনে মোহাম্মাদী। যারই ফল শ্রুতিতে আইন শাস্ত্রে ইসলামী জীবন বিধান Mohamadan Law হিসাবে পৃথিবীময় স্বীকৃতি লাভ করেছে। মানে মোহাম্মদী আইন বা মোহাম্মদী শরীয়ত। ইতিহাস পর্যালোচনা করলে জানা যায়,মোহাম্মদী ইসলামের স্বর্ণ যুগ ছিলো ৫৩ বছর। নবীজি ( সঃ) এর নবুয়তী জীবনের ২৩ বছর এবং খোলাফায়ে রাশেদীনদের ৩০ বছর। এ দীর্ঘ সময় ধর্ম মোহাম্মদী ইসলাম নামেই বহুল প্রচলিত ছিলো, কিন্তু উমাইয়া শাসনামল থেকে যখন ইসলামী খেলাফতের নাম পরিবর্তন করে উমাইয়া শাসন হিসাবে আখ্যায়িত করা হলো, তখন থেকে এ ধর্মের নাম 'মোহাম্মদী ইসলাম ' থেকে মোহাম্মদ নাম বাদ দিয়ে শুধু ইসলাম রাখা হয়, এবং তখন থেকেই উম্মতে মোহাম্মদী চক্রান্তের বেড়াজালে পতিত হয়। এবং কান্ডারী বিহীন ইসলাম পালন করে আজ আমরা মোহাম্মদী ইসলাম নাম শুনলে চমকে উঠি। অথচ দুনিয়াতে যত ধর্ম, মতবাদ, মাযহাব, তরিকা, ও যত আদর্শ প্রতিষ্ঠিত হযেছে তা ঐ সব আদর্শ প্রবর্তকদের নামানুসারেই নাম করন করা হয়েছে, যেমন : প্রথমে হাদিস বিশারদগনদের নামে হাদীসের কিতাবের নাম করন করা, ১ / ইমাম বোখারীর নামে, বোখারী শরীফ, ২/ ইমাম তিরমিজির নামে, তিরমিজি শরীফ, ৩ আবু দাউদ শরীফ, ৫ / মুসলিম শরীফ, ৬ / ইবনে মাজা শরীফ, ইত্যাদি ইত্যাদি। তেমনি ভাবে তেমনি মাজহাবের ইমামদের নামেও স্বীয মাজহাবের নামকরন করা হয়, যেমন: ১/ হানাফী ২/ শাফেয়ী ৩/ মালেকী ৪/ হাম্বলী। তেমনি ভাবে, তরিকার ক্ষেত্রেও, ১/ ক্বাদরীয়া ২ / চিশতীয়া ৩ / নক্শবন্দীয়া ৪/ মোজাদ্দেদীযা। ইত্যাদি। বাংলাদেশেও ১/ জামায়েত ইসলাম ২ /হেফাজত ইসলাম, তাবলিগ জামাত, ৪ / দাওয়াতে ইসলাম,ইত্যাদি নামে ধর্মকে বিভক্ত করা হয়। কিন্ত আজব ব্যাপার,,, যখনই" মোহাম্মাদী ইসলাম" বলাহয় তখনি আমাদের তা বুঝতে ও চিনতে খুবই কষ্ট হয়। এজন্য সূফী সম্রাট ( মাঃ আঃ) হুজুর বলেন: যিনি আমাদের শান্তির ধর্ম " ইসলাম" দিলেন তার নামে ধর্মের নামকরন ( মোহাম্মদী ইসলাম) করার অযৌক্তিকতা কোথায়? কারন উপরে উল্ল্যেখিত সকল সপ্রদায় তাদের নিজ নিজ নামে তাদের বিধান বা আইনের নাম করন করেছেন।

এরিস্টটল

এরিস্টটল

ছোট্ট একটি গ্রিক কলোনিতে জন্মগ্রহণ করেন এরিস্টটল (৩৮৪-৩২২ বিসি)। চিকিৎসক পিতা আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের দাদার রাজকীয় চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেছেন। যদিও তিনি প্লেটোর ছাত্র ছিলেন কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই প্লেটোর সাথে তার মতবিরোধ আছে। তিনি চার বছর আলেকজান্ডারের শিক্ষকতা করেন। এরপর ৩৩৪ সালে এথেন্সে ফিরে গিয়ে লাইসিয়াম প্রতিষ্ঠা করেন।
এরিস্টটল দার্শনিক অপেক্ষা বিজ্ঞানী হিসেবে বেশি পরিচিত। প্রকৃতির প্রতি ছিল তার গভীর আগ্রহ। তিনিই প্রথম প্রাণী ও উদ্ভিদ এই দুটি শ্রেণীতে জীবজগতকে বিভক্ত করেন। তিনি প্রাণীর অঙ্গসংস্থানবিদ্যা ও আচরণ সম্পর্কে গবেষণা করেছেন। দর্শন সম্পর্কিত প্রথম বই এরিস্টটল রচনা করেন। ল্যাটিন ভাষায় এই বইটি ‘ডি অ্যানিমা’ (De Anima) নামে পরিচিত।


প্লেটোর মতো তিনিও তিন ধরনের আত্মার কথা বলেন। যদিও দুজনের মতবাদের মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য আছে। তিন ধরনের আত্মার মধ্যে একটি উদ্ভিদ প্রাণ। দ্বিতীয়টি প্রাণী, যার মধ্যে মৌলিক চাহিদা, আনন্দ, কষ্ট এই অনুভূতিগুলো থাকবে। সর্বশেষ হচ্ছে মানবিক আত্মা। যেখানে চাহিদার আগে কারণ অগ্রগণ্য।

জ্ঞান চর্চার জন্ম দর্শন থেকেই। চাওয়া আর পাওয়ার মধ্যে যে দূরত্ব তা ব্যাখ্যা করে দর্শন। মানুষের চাহিদার কোনো শেষ নেই কিন্তু দর্শন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে চাহিদার পরিধি। দর্শন বদলে দিতে পারে জীবনের গতি, আগ্রহের দিক। তৈরি করতে পারে কালের মহামানব। সক্রেটিস, এরিস্টটল, প্লেটো এরাই তার প্রমাণ।

 সক্রেটিস

সক্রেটিস ছিলেন সত্যের পূজারি। জীবনের শেষ দিনটি পর্যন্ত তিনি সত্য সাধনা করে গেছেন। তিনি বেশ কিছু মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন। এর মধ্যে একটি মেনো (Meno)। মেনো হচ্ছে অনন্ত আত্মার সাথে মিলন সম্পর্কিত মতবাদ। সক্রেটিসের মতে, অনন্ত আত্মা গভীর জ্ঞানের অধিকারী। কিন্তু প্রতিবার পুনর্জন্ম হওয়ার সাথে সাথে দেহের সাথে অনন্ত আত্মার বিচ্ছেদ ঘটে, একই সাথে বিচ্ছেদ ঘটে জ্ঞানেরও। তাই জ্ঞান অন্বেষণ না করে অনন্ত আত্মার জ্ঞান মনে করার চেষ্টা করাই শ্রেয়।

 সক্রেটি-এর সাথে দেখা হওয়ার দিনব্যাপী খেলা চলমান গ্রিসের সমৃদ্ধশালী রাজ্য রাষ্ট্রের ডাক্তার আরও বেশি করে হেমলকের জন্মভূমি হয়ে গেলেন তার ছাত্রদের প্রতিবেদনে তার বক্তব্য রাখতে হবে, প্রতিবেদনের সাথে তার প্রতিবেদনের সত্যতা পাওয়া যাবে না সত্যই এই পূজারীর ইতিহাস তৈরি করা হয়েছে বিস্তৃত ঘটনাটি ঘটে

 
আছেন কোথায় স্বর্গপুরে
কেউ নাহি তার ভেধ জানে
কেন জিজ্ঞাসিলে খোদার কথা
দেখায় আসমানে।।
পৃথিবী গোলাকার শুনি
অহর্নিশি ঘোরে আপনি।
তাইতে হয় দিন-রজনী
জ্ঞানী গুনী তাই মানে।।
একদিকেতে নিশি হলে
অন্যদিকে দিবা বলে
আকাশতো দেখে সকলে
খোদা দেখে কয়জনে।।
আপন ঘরে কে কথা কয়
না জেনে আসমানে তাকায়
লালন বলে কেবা কোথায়
বুঝিবে দিব্যজ্ঞানে।।

Image result for লালন

লালনগীতি

রাঙ্গা চরণ যেন ভুলিনে
গুরু সুভাব দাও আমার মনে।।
তুমি নির্দয় যাহার প্রতি
সদাই ঘটে তার কুমতি।
তুমি মনরথের হংসরথি
যথা লও যাই সেখানে।।

তুমি মনের মন তরী
তুমি তন্ত্রের তন্ত্রী।
তুমি যন্ত্রের যন্ত্রী
না বাজাও বাজবে কেনে।।
আমার জন্ম অন্ধ মন নয়ন
তুমি বৈদ্য সচেতন।
চরণ দেখবো আশায় কয় লালন
জ্ঞানঅঞ্জন দাও মোর নয়নে।।


Related image
As we study in a school in order to purify our knowledge regarding outer world, the same way we're to go to a Spiritual Guide to purify our inner-self.We need to go in contact with a Spiritual Guide to have the learning of spiritual world.If you approach learning about soul,then you’ll find peace in worship.



জাহের শুদ্ধ করার জন্য আমরা যেমন স্কুলে গিয়ে লেখাপড়া করি। তেমনি বাতেন শুদ্ধ করার জন্য মোর্শেদের কাছে যেতে হয়। আত্মার বিদ্যা শিক্ষা করার জন্য মোর্শেদের কাছে যেতে হয়। আত্মা সম্পর্কে অগ্রসর হলে আপনি ইবাদতে শান্তি পাবেন।

 Image result for আত্মার

আল্লাহর দেওয়া পুরস্কার পূর্নিমার চাঁদে বাবা দেওয়ানবাগী

আজ ১৯/০৮/২০১৬, শুক্রবার। 
দেওয়ানবাগ শরীফের বাবে রহমতে আয়োজিত সাপ্তাহিক বিশেষ আশেকে রাসূল (সঃ) মাহফিল ও ‘আল্লাহর দেয়া পুরস্কার ॥ পূর্ণিমার চাঁদে বাবা দেওয়ানবাগী’ উপলক্ষে মহান সংস্কারক, মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী, যুগের ইমাম, আম্বিয়ায়ে কেরামের ধর্মের দায়িত্ব ও বেলায়েত লাভকারী, হযরত ইব্রাহীম (আঃ)-এর ধর্ম প্রচারের দায়িত্ব লাভকারী, আল্লাহ্র দেয়া পুরস্কার পূর্ণিমার চাঁদে বাবা দেওয়ানবাগীর জীবন্ত প্রতিচ্ছবি, সূফী সম্রাট হযরত মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (মাদ্দাজিল্লুহুল আলী) হুজুর কেব্লাজান আশেকে রাসূল ও মুক্তিকামী মানুষের উদ্দেশ্যে যে বাণী মোবারক প্রদান করেন তার সংকলন]
=================================
নাহমাদুহু ওয়ানুসাল্লিয়ালা রাসূলিহিল কারিম। সম্মানিত আশেকে রাসূলেরা আপনারা আমার সালাম গ্রহণ করুন। আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
সম্মানিত আশেকে রাসূলেরা, আজ আল্লাহর দেয়াা পুরস্কার পুনিমার চাঁদে বাবা দেওয়ানবাগী অনুষ্ঠানে আমরা সালাতুস শুকুর নামাজ আদায় করেছি। হযরত রাসুল (সঃ) আল্লাহর পক্ষ থেকে কোন শুভ সংবাদ পেলে শুকরিয়া আদায়ের জন্য দুই রাকাত নামাজ পড়তেন। পূর্নিমার চাঁদের অনুষ্ঠানটা কি আমাদের জন্য একটা শুভসংবাদ নয়। আমরা প্রতি মাসে পূর্নিমার চাঁদ আসলে সালাতুস শুকুরের দুই রাকাত নামাজ আদায় করি।
সম্মানিত আশেকে রাসূলেরা, আমাদের জীবনে কিছু ঘটনা আছে যেগুলোর সাথে অন্যদের মিল নেই। ফলে অনেকে এটার বিরোধীতা শুরু করে দেয়, না জেনে না বুঝে। সংস্কার করতে গিয়ে আমারা যখন ধর্মে প্রবিষ্ট ভুলগুলো সংশোধন করেছি তখন একটা শ্রেণী আমাদের বিরোধিতা শুরু করে। পরে অবশ্য সেটা মেনে নিতে বাধ্য হয়। যখন কোন ঘটনা ঘটে তখন তার ব্যাখ্যা আমাদের দিতে হয়, বলতে হয়। এটা আল্লাহর বিভিন্ন লিলা-খেলা। যেভাবে তিনি তাঁর ধর্ম প্রচার করতে চান ধর্ম সেইভবেই প্রচারিত হবে।
সম্মানিত আশেকে রাসূলেরা, হযরত আদম (আঃ) থেকে শুরু করে সকল মানুষই আল্লাহকে পাওয়ার জন্য নবী-রাসূলদের কাছে গিয়েছে। পরবর্তীতে অলী-আল্লাহদের কাছে গেছে। আমাদের বাংলাদেশে অলী-আল্লাহরা এসে আমাদের পূর্ব পুরুষদের মুসলমান বানিয়েছেন। গ্রাম বাংলায় এখনো জমিনের পুরনো দলিলের মধ্যে লেখা দেখতে পাবেন শ্রী শ্রী আব্দুল করিম, শ্রী শ্রী আব্দুল রহিম। এতে করে বুঝা যায় আমরা অন্য ধর্ম থেকে মুসলমান হয়েছি। এদেশের মানুষ অলী-আল্লাহদের মাধ্যমে ই ইসলাম গ্রহণ করেছে, তারপর আজকের এই অবস্থায় এসেছে।
সম্মানিত আশেকে রাসূলেরা, হযরত রাসুল (সঃ)-এর জামানায় যারা ধর্ম গ্রহণ করেছিল তারা রাসুল এর অনুসরন করেছেন। হযরত রাসূল (সঃ)-এর কথাগুলোই পরবর্তীতে হাদীস হিসেবে সংকলিত হয়েছে।
সম্মানিত আশেকে রাসূলেরা, ইসলাম শান্তির ধর্ম। শান্তির ইসলাম দেহে থাকে না আত্মায় থাকে। অন্তর দ্বারা শান্তিপেতে হয়। সঠিক ইসলাম পালন করলে আপনার হৃদয়টা প্রশান্তি লাভ করবে। কোন টেনশন আপনাকে স্পর্শ করবে না। আপনি যে রাস্তায় চলা-ফেরা করেন কোন টেনশন লাগে। কিন্তু অন্যদের দেখেন তাদের কাছে কেমন লাগে। এ শান্তিটা তো আত্মা থেকে আসে। আর এই শান্তি আনতে হলে শান্তির চরিত্রের অধিকারী ব্যক্তির কাছে যেতে হয়। নবী-রাসুলগন যারা মূর্তি পুজা করতো এদেরকে শান্তির চরিত্রের শিক্ষা দিয়েছেন। এই শান্তির চরিত্র লাভ করার পরই তারা শান্তির চরিত্রে চরিত্রবান হয়েছে। সুন্দর চরিত্র কিতাব পড়ে হয় না, চরিত্রবান ব্যক্তির প্রয়োজন। নবুয়াতের যুগে নবী-রাসূলগণ মানুষকে চরিত্রবান করেছেন। আর বেলায়েতের যুগে আওলিয়ায়ে কেরাম মানুষকে চরিত্রবান করছে। নিজের দোষ ক্রটি দূর করতে না পারলে সে চরিত্রবান হবে কি করে। এখন আপনাদের আশেকে রাসূল এর সংখ্যা অনেক। সবাইকে চেনা কঠিন। সুতরাং নিয়মিত আশেকে রাসুল এর চরিত্র অর্জন করতে চেষ্টা করেন।
সম্মানিত আশেকে রাসূলেরা, কিছু কিছু লোক আছে আশেকে রাসূল এর কথা আমরা যা আলোচনা করি সেটা শুনে। কিন্তুশোনা, বলা, আর আমল করা এক নয়। একটা শ্রেণী আছে যারা মানুষকে প্রতারিত করতে চেষ্টা করে। অলী-আল্লাহর দরবারে খারাপ ভালো দুই শ্রেনীর মানুষই আসে। সাধনা করতে করতে সেই খারাপ মানুষটা ভাল হয়ে যা। কিন্তুসাধনা করত হবে। আমাদের এখানে বাইরে থেকে বিভিন্নলোক আসে আমরা তরিকার বিধান অনুযায়ী সবক দিয়ে দেই। কিন্তু কিছু লোক ওয়াজিফা নিয়ে আলমারীতে রেখে দেয়। এখন স্কুলে ভর্তি হলেই কি মানুষ শিক্ষিত হয়ে যায়? তাদের কি নিয়মিত পড়ালেখা করতে হবে না? কিছু কিছুলোক আমাদেরও আছে বিপদগামী হয়ে উল্টা পাল্টা কথা বলে। আপনারা যারা আপনাদের দয়ার মা’র রওজায় যান তাদের কাছে কি খারাপ লাগে, অশান্তিলাগে? যাদের কাছে অশান্তি লাগে খারপা লাগে তারা তো সঠিক পথে নেই। এই সব বিষয় নিয়ে একটা শ্রেনী ফেইসবুকে উল্টা-পাল্টা কথা লিখে। কিন্ত আমার সামনে আসে না। এরা মানুষের কাছ থেকে টাকা তোলে, চালউ তোলে মিথ্যা কথা বলে। আশেকে রাসুল দবি করে কিন্তু আমার সাথে দেখা করে না। আমি এগুলোকে বের করে দিয়েছি। কর্মদোষেই এরা দরবার থেকে বিতারিত। আমার মোর্শেদের দরবারাও আমি এমন দেখেছি কর্ম দোষের কারণে দরবার থেকে বের হয়ে গেছে। এইগুলো আল্লাহর শক্র, আল্লাহর রাসূল (সঃ)-এর শত্রু, আমাদের শত্রু। এরা বিপদগামী। এরা শয়তানের চেয়ে খারাপ। এরা মানুষের কাছ থেকে টাকা তোলার জন্য বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করছে। আমি আপনাদের কাছে আগেও বলেছি এরা বিদেশে পাঠানোর কথা বলে আপনাদের কাছ থেকে টাকা নেয়। সেই টাকা নিয়ে আত্মসাত করে। সুতরাং এগুলোকে প্রশ্রয় দিবেন না। এগুলো সকল নবী-রাসূল এর যুগে মানুষ শয়তান হিসেবে কাজ করেছে। এর াই মানুষ শয়তান। এরাই বিভ্রান্তি সৃস্টি করে। হযরত রাসুল (সঃ)-এর যুগে এমন মানুষ শয়তান ছিল।
সম্মানিত আশেকে রাসূলেরা, সমাজের একটা শ্রেনী বলে হযরত রাসুল (সঃ) ৭০ তালিওয়ালা জামা পড়তেন। এটা রাসুল (সঃ)-এর যুগে কিছু মানুষ শয়তান প্রচার করেছিল এখনো কিছু মানুষ শয়তান এটাই প্রচার করছে। আমি আপনাদের ভিডিও সিডির মাধ্যমে দেখিয়েছি রাসুল (সঃ) স্বর্ণের সিংহাসনে বসতেন। হযরত রাসূল (সঃ) কুলকায়েনাতের রহমত। রাসূল (সঃ) গরীব ছিলেন, ৭০ তালিওয়ালা জামা পড়তেন এগুলো মিথ্যা কথা। চক্রান্তকারী সবযুগে ছিল, এখনো আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। এদের থেকে আপনারা সাবধান থাকবেন।
সম্মানিত আশেকে রাসূলেরা, ময়ময়সিংহের ত্রিশালের বাবে বরকতে আমি আমার শাশুড়ির রওজা শরীফ বানিয়েছি কারো কাছ থেকে কোন টাকা নিয়েছি? আমার স্ত্রী রওজা আমি বানাবো আমি কি কারো কাছে টাকা পয়সা চেয়েছি। যারা আপনাদের কাছে রওজার নাম করে টাকা চায় তারা প্রতারক। আমি আপনাদের এই বিষয়গুলো বলার কারণ হলো ফেইসবুকে এই প্রতারক চক্র মিথ্যা অপপ্রচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে আপনারা এদের কথা বিশ্বাস করবেন না। আপনাদের সাবধান করছি আপনারা যাতে করে এদের ধোঁকায় না পড়েন, এদের মায়া কান্না দেখে। আপনি সিরাতুল মোস্তাকিমে আছেন, তাই আপনি সরল বিশ্বাসী। এরা আপনাদের দুর্বল স্থানে আঘাত করে প্রতারিত করতে চেষ্টা করবে আপনারা সতর্ক থাকেবেন।
সম্মানিত আশেকে রাসূলেরা, আপনারা পূর্ণিমার চাঁদের অনুষ্ঠান করে শান্তি পান? আমরা শুকরিয়া আদায় করে দুই রাকতা নামাজ পড়ি। আমাদের নামে একটা বদনাম আছে আমারা মিলাদে কিয়ামের সময় দাঁড়িয়ে ‘ইয়া নবী সালামুআলাইকুর’ স্থলে মিলাদে ‘ইয়া ইমাম সালামুআলাইকা’ বলি। ঘটনা হলো কেউ এম এ পাশ করলে তাকে কেউ বলে কি- মেট্রিক পাশ অথবা আই এ পাশ? আল্লাহ রাসূল (সঃ)-কে প্রথমে নবী বলেছেন। এরপর রিসালাত যখন আসছে তখন রাসূল (সঃ)-কে বলেছেন- হে রাসুল। যখন তিনি ইমামুল মুরসালিন হলেন অর্থাৎ উনি যখন মেরাজে যান তখন সেখানে বায়তুল মোকাদ্দাসে তিনি সকল নবী-রাসুলদের ইমাম হয়ে দুই রাকাত নামাজ পড়িয়ে ছিলেন। ঐখান থেকে তিনি ‘ইমামুল মুরসালিন’। সকল নবী-রাসূলগণের ইমাম। আল্লাহর পক্ষ থেকে রাসূল (সঃ)-এর এটা সর্বশেষ র‌্যাংক। তখন আমরা বলেছি- ‘ইয়া ইমাম সালামুআলাইকা।
সম্মানিত আশেকে রাসূলেরা, আমি কোরআন দিয়েই প্রমান করেছি আল্লাহর আকার আছে। আমি তাফসীরে ‘সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী’ লিখেছি। কোরআনের আয়াত দিয়েই প্রমান করেছি আল্লাহর আকার আছে। এলমে তাসাউফ, এলমে মারেফত। সকল নবী-রাসুল গন এই বিদ্যাটা চর্চা করেই আল্লাহর সাথে যোগাযোগ করেছেন। হযরত ইব্রাহিম (আঃ) থেকে যে আমাদের ধর্ম এসেছে এটা আমরাও জানতাম না। এখন দেখছি সকল নবী-রাসুল গন এক সুতায় গাঁথা। মাদ্রাসায় তো আমিও পড়েছি কিন্তু সিলেবাসে যা আছে শুধু তাই পড়েছি। কোরআনের প্রতিটি আয়াতের গবেষণা করার সুযোগ আছে কি আমাদের। আমরা এখন তাফসীর লিখতে গিয়ে প্রতিদিনই নতুন নতুন বিষয়ের সম্মুখিন হচ্ছি।
সম্মানিত আশেকে রাসূলেরা, সবই তো বিজ্ঞান। এক বিজ্ঞান পড়ে ডাক্তার হলেন। আরেক বিজ্ঞান পড়ে ইঞ্জিনিয়ার হলেন। আরেক বিজ্ঞান পড়ে মহাকাশ বিজ্ঞানী হলেন। তাসাউফের বিদ্যা দিয়ে সকল নবী-রাসূল গণ আল্লাহর সাথে যোগাযোগ করেছেন। হযরত নূহ (আঃ) কিভাবে নৌকা বানাবেন আল্লাহ তা শিখিয়ে দিয়েছেন। হযরত দাউদ (আঃ) লোহাকে ব্যবহার করে অস্ত্র তৈরি করেছেন। আল্লাহ তাদের কাছে বসে থেকে শিক্ষা দিয়েছেন।
সম্মানিত আশেকে রাসূলেরা, আমাদের সমাজে প্রচলন আছ জিব্রাইল রাসুল (সঃ)-এর শিক্ষক। জিব্রাইল কি আদম (আঃ) সেজদা করেনি? তাহলে সে রাসূল এর শিক্ষক হলো কি করে? আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘হে রাসূল! আমি আপনাকে কোরআন শিক্ষা দিয়েছি।’ তাহলে হযরত রাসূল (সঃ)-কে জিব্রাইল কিভাবে কোরআন শিক্ষা দিলো? রাসুল (সঃ) বলেন, ‘আমি শিক্ষক রূপে প্রেরিত হয়েছি।’ যিনি শিক্ষক হিসাবে জন্ম হলেন তিনি কি করে জিব্রাইলের কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেন। আমরা এই বিষয়গুলো তাফসীরে লিখছি। আপনারা তাফসীর পড়লে জানতে পারবেন। আমাদে জানা দরকার আল্লাহ কি বলেছেন এবং রাসুল কি বলেছেন। আগে আল্লাহ সম্পর্কে জানেন তারপর মানেন। না জেনে মানার কোন মূল্য নেই। আগে চেষ্টা করেন ক্বালব থেকে শয়তান তাড়াতে। হযরত ওমর (রাঃ) আল্লাহর রাসূল (সঃ)-এর কাছে গিয়ে বলেন, ইয়া রাসূল্লালাহ! আমি নামাজে দাঁড়ালে দুনিয়ার কথা মনে আসে। তখন রাসূল (সঃ) তার বুকে হাত রাখলেন। এরপর বললেন এখন। তখন ওমর (রাঃ) বললেন, এখন শুধু আমার নিজের কথা মনে আসে। রাসূল (সঃ) আবার তার বুকে হাত রাখলেন এবং এরপর জিজ্ঞাসা করলেন এখন। তখন ওমর (রাঃ) বললেন, ইয়া রাসূল্লালাহ (সঃ) এখন আল্লাহ ছাড়া আর কিছুই মনে আসে না। এভাবেই আল্লাহর রাসূল (সঃ) তাসাউফের শিক্ষা দিয়েছেন।
সম্মানিত আশেকে রাসূলেরা, আমাদের তাফসীরটা মনোযোগ দিয়ে পড়বেন। এতে সব কথা পাবেন যা আগে কখানো শুনেননি। এগুলো আমাদের জানার প্রয়োজন আছে। জানেন তারপর পালন করেন। আমরা আসছি দরবারে ঈমানদার হওয়ার জন্য, মুনেন হওয়ার জন্য, আল্লাহকে পাওয়ার জন্য, হযরত রাসূল (সঃ)-কে পাওয়ার জন্য। আমি কতটুকু আল্লাহকে পেলাম, রাসূল (সঃ)-কে পেলাম, কতটুকু ঈমানদার হতে পারলাম এগুলো আমাদের চিন্তা করা দরকার। আমার মোর্শেদের দরবারে মোর্শেদের পর আমার স্থান ছিল। আমিই সেখানে সবক দিতাম। ১২ বছর কাজ করেছি। আমার আল্লাহ আমাকে দয়া করেছেন। এখনো যদি কেউ আমরা মোর্শেদের কথা এসে আমাকে বলে যে, উনি এই বিষয়ে এই কথা বলেছেন। আমি বলে দিব কোনটা উনার কথা আর কোনটা আপনি সংযোগ করেছেন। তরিকাটা হলো সহবতের । তরিকা কাছে থেকে শিখতে হয় তাহলে ভুল কম হয়। মানুষ শয়তান থেকে সাবধান থাকেন কারণ মানুষ শয়তানই মানুষকে বেশি বিপথগামী করে
আসুন মহান আল্লাহর সাহায্য চাই। তিনি যেন দয়া করেন আমাদের কবুল করে নেন। আমিন।

large-minded

Definition of large-minded

Generous or comprehensive in outlook, range, or capacity.............
Image result for large-minded