Wednesday, February 26, 2020

বিডিআর হত্যাকাণ্ডে বিএনপি-জামাত জড়িত !
যারা নিহত হয়েছেনঃ

খালেদা, নিজামী যখন জেএমবি ও জঙ্গিদের অস্তিত্বের কথা অস্বীকার করেছিলেন এবং বাংলা ভাই মিডিয়ার সৃষ্টি বলে মন্তব্য করেছিল। সে সময় শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কর্নেল গুলজার মুফতি হান্নান, বাংলা ভাই, শায়খ রহমান, আতাউর রহমান সানিসহ শীর্ষ জঙ্গি গ্রেফতার করে তাদের মুখে চপেটাঘাত করেছিল।
মেজর জেনারেল শাকিল, কর্নেল গুলজারসহ নিহতদের মধ্যে যারা ২০০৮ এ সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের মধ্যে কর্নেল এলাহি, কর্নেল মোয়াজ্জেম,দেশের প্রথম প্যারা-কমান্ডো কর্নেল এমদাদ, কর্নেলইনসাত, কর্নেল লতিফুর রহমান, কর্নেল নকিবুর রহমান,কর্নেল ইমাম শাখাওয়াত, লে: কর্নেল রবি রহমান, কর্নেল এহসান, মেজর মাসুম, মেজর রফিক, মেজর খালিদ ও মেজর মাহবুব অন্যতম।
উল্লেখ্য এইচ এম এরশাদের ভাগ্নে ছাড়াও এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন তৎকালীন আইজিপি নুর মোহাম্মদের জামাতা ক্যাপ্টেন মাজহারুল হায়দার।
অভিযুক্তদের পক্ষে কেন বিএনপি জামাত আইনী লড়াই করেছে?
বিডিআর হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের প্রেক্ষাপট বুঝতে অভিযুক্ত আসামীদের পক্ষে কারা আইনী লড়াই করেছে সেই আইনজীবীদের তালিকাটি বিবেচনা করা প্রয়োজন। এ থেকে অনুধাবন করা যায় যে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের সকল সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছিল বিএনপি-জামাত।
কারা এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত?
• ডিএডি তৌহিদ, বিদ্রোহী সিপাহী মাঈন, সুবেদার মেজর গোফরান মল্লিক সহ যে হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তদের প্রায় সকলে বিএনপি আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত।
• টাঙ্গাইল থেকে গ্রেফতার হওয়া ২২ জন বিডিআরসদস্য ২১ আগস্ট গ্রেনেড মামলার আসামী বিএনপির উপমন্ত্রী সালাম পিন্টুর সুপারিশে চাকরি পেয়েছিল।
বিডিআর হত্যাকাণ্ডের দু’দিন পর খালেদা জিয়া সম্মুখে আসেন। তিনি বলেন, সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা ভুল ছিল।
এ বক্তব্যেই বোঝা যায় তিনি কি চেয়েছিলেন। বিএনপিপন্থী কয়েকটি মিডিয়া বা সাদেক খানরা বিডিআরের পক্ষে অবস্থান নিয়েও পরবর্তিতে মত পরিবর্তন করেন। তাদের দাবি অনুযায়ী বল প্রয়োগ করা হলে প্রাণহানি ঘটতো অগণিত মানুষের। অন্যদিকে সিলেট, সাতক্ষীরাসহ কয়েকটি এলাকায় বিদ্রোহ শুরু হয়েছিল। রংপুরে তিনজন সেনাকর্মকর্তাকে জিম্মি করা হয়েছিল।

No comments:

Post a Comment