Tuesday, December 8, 2020

করোনা ও বাংলাদেশ & কারেন্সিওয়ার প্রথম পর্ব

বাংলাদেশের ঝুকি এবং আগুয়ান মহাবিপর্যয় নিয়ে লিখব। কিনতু লিখতে গিয়ে মনে হল এই উপরে উপরে ভাসা ভাসা না লিখে চরম সত্যটাই জানিয়ে দেই। কিনতু সত্য জানা যেমন কঠিন হজম করা তার থেকেও বহু গুন কঠিন। 



তাই আগেই বলে দিচ্ছি এই ধারাবাহিকটা সবার জন্য নয়। যারা দলীয় কিংবা কোন বিশেষ সম্প্রদায় বা কোন বিশ্বাসে বিশ্বাসী চশমা পরে দুনিয়া দেখে থাকেন তারা দয়া করে এই লেখাগুলো এড়িয়ে যাবেন । এই লেখাগুলো তাদের জন্য যারা চিন্তাশীল, ধৈর্যশীল এবং যারা সত্যের পুজারী, যারা জানেন সত্যই ধর্ম, সত্যই খোদা, এটা সেই সব মানুষের জন্য। 

ঘটনার পিছনে যেমন ঘটনা আছে তার পিছনেও ঘটনা আছে এবং তার পিছনেও ঘটনা আছে। এথন যদি কেউ ১ম ঘটনা দেখে ভেবে নেয় এটাই সত্য তাহলে বিষয়টা হবে অন্ধের হাতি দেখার মত। আবার কেউ যদি তার পিছনের ২য় ঘটনা দেখে ভেবে নেয় যে সত্য জেনে গেছে সেটাও পুরোটা জানা হল না। 

তাই পুরোটা জানতে হলে ধৈর্যের কোন বিকল্প নেই আর আল্লাহ কোরআন পাকে বলেছেন তিনি ধৈর্যশীলদের সাথে থাকেন। সত্যের তরবারী কাউকে বাছ বিচার করে না সবার উপর পড়ে তাই এই লেখাগুলো অনেকের বিশ্বাসের উপর চরম আঘাত হানবে। 

যারা গ্রহন করতে পারবে তারা জ্ঞানী বলেই পারবেন আর যারা হজম করতে পারবেন না তারা যে স্তরে আছেন সেখানেই থাকবেন। সত্য উলঙ্গ তাই শেষে আপনাকেও উলঙ্গ করে দেবে আর তাতেই আপনার মুক্তি। এই লেখাগুলো কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে আটকে থাকবে না।

 অর্থনীতি, সমরনীতি, ধর্ম, দর্শন, রাজনীতি, বিজ্ঞান, অংক, স্পিপিচুয়ালিটি সব থাকবে। কত পর্বে এটা শেষ হবে সেটাও বলতে পারছি না। ছোট বেলায় স্কুলের বেঞ্চে বসে অনেকেই কম্পাস দিয়ে বেঞ্চের উপর ফুটো ফুটো করে বিভিন্ন ছবি এঁকেছি। 

লেখাগুলোতে যে সব ইনফরমেশন থাকবে সেগুলো একেকটা সেই কম্পাস দিয়ে ফুটো করা বিন্দুর মত। এগুলো এক করেই বিশাল ছবিটা আঁকতে হবে। আপনারাও নিজেরা ছরি তৈরী করে নিবেন। বিষয়গুলো খুবই জটিল তবে আমি আপ্রান চেষ্টা করব সহজ ভাবে উপস্থাপন করতে। 

দেশ, কাল, সীমানায় আটকে থাকবেনা লেখা। আবার বিষয়ের কোন ধারাবাহিতাও থাকবে না অনেক সময় । আপনার প্রাসঙ্গিক মনে হবে না অনেক সময় তবে ধৈর্য ধরতে পারলে লেথা যথন শেষ হবে তখন আর বেহুদা মনে হবে না।

বিষয়টা এমন না যে এক বসায় সব লেখা যাবে বা বুঝিয়ে বলা যাবে। মহা বিশাল কাহিনীর অংশ বাকী সব গল্প । একটার সাথে আরেকটা জড়িত সুতোর বুননের মত। কাপড় কত বড় আর সেই কাপড়ের ডিজাইন কি শার্ট না শাড়ীর সে আরও ওপরের বিষয়।

 আবার একেকজনের দেখার দৃষ্টভঙ্গিও একেকরকম। আমার পর্যবেক্ষনে দেখা যাক কতদুর যাওয়া যায়….বর্তমানে পৃথিবীর এমন কোন মানুষ নেই যে অস্বস্তিতে নেই করোনা নিয়ে। মানব জাতীর ইতিহাসে এমন সময় আগে আর আসেনি। 

বাপের জন্মে ও কেউ দেখেনি ভাইরাসের কারনে এভাবে পৃথিবী শুদ্ধ মানুষ গৃহবন্দী। চরম অনিশ্চয়তা চারিদিকে। সামনে কি হবে কেউ বুঝতে পারছে না। না কোন সরকার না কোন সংস্থা, কেউ জানে না সামনে কি হবে। কিন্তু এসবই উপসর্গ কিন্তু আসল রোগ না। তবে পৃথিবী যে আগের মত আর থাকবে না সেটা একেবারেই নিশ্চিত। কিন্তু এর ভিতরেও আরেক যুদ্ধ চলছে আমি সে বিষয়ে লিখছি।

অনেক বড় বড় বিশেষজ্ঞগণ মতামত দিচ্ছেন যে, করোনা ভাইরাস ল্যাবরেটরীতে সৃষ্ট একটি যুদ্ধাস্ত্র। আর যদি এটা যুদ্ধই হয়ে থাকে তাহলে এটা হয় চীন শুরু করেছে না হয় অ্যামেরিকা। তবে এই যুদ্ধ যেই শুরু করুক না কেন তা এখন আর তাদের নিয়ন্ত্রণে নেই।
 আর এই করোনার ভয়াবহতা এমন পর্যায়ে উপনীত হয়েছে যে করোনা পরবর্তী নতুন এক দুনিয়া আমাদের সামনে এসে দাঁড়াবে। করোনা পরবর্তী সময়ে যা যা হতে পারে,
১। দুনিয়ার অর্থনীতি নতুন করে গঠিত হবে। বর্তমান অর্থনীতি হল কেইনেসিয়ান অর্থনীতি। অর্থনৈতিক এই মডেল ১৯৩০ সালের মহামন্দার পরে প্রয়োগ করা হয় যা আজ অবধি চলে আসছে। তবে ২০০৮ সালের মন্দার পর এক অর্থে বলতে গেলে গ্লোবাল ফাইন্যান্স সিস্টেম একেবারে ধ্বসে পড়েছে। 
পুঁজিবাদীদের হাতে অন্য কোন মডেল না থাকায় ১২ বছর ধরে এই মডেল দিয়ে কোনমতে চালিয়ে আসছিল। কিন্তু করোনা এর পথও রুদ্ধ করে দিল। ২০১০ সাল থেকে অ্যামেরিকার ফেডারেল ব্যঙ্ক মোট ৯০০ বিলিয়িন ডলার ছাপিয়েছে।
 কিন্তু করোনা আক্রমণের পরের এক সপ্তাহেই ডলার ছাপিয়েছে ১ ট্রিলিয়ন ডলার! বেকার হয়েছে ৪০ লাখের বেশী মানুষ। ট্রাম্প এক দিকে চাচ্ছে FED দখলে নিতে আর FED চাচ্ছে ট্রাম্পকে ক্ষমতচ্যুত করতে। অবস্থা যাই হোক না কেন, করোনার পর সৃষ্ট হবে নতুন অর্থ ব্যবস্থা!
এখন প্রশ্ন আসে সেই অর্থনীতি কিসের ভিত্তিতে হবে? বণ্টন নীতি নাকি সম্পদকে গচ্ছিত করার নীতি? মুসলমানগণ যদি শক্তিশালী হত তাহলে এটা অনেক বড় একটা সুযোগ ছিল নতুন অর্থনীতিকে ইসলামী অর্থনীতির আলোকে সাজানোর।
২। পরাশক্তিদের মধ্যে পরিবর্তন আসবে। তবে এই যুদ্ধে যেই জিতুক মূল চাপ এসে পড়বে ভঙ্গুর দেশ সমূহের উপর। তথা এই যুদ্ধে পরাজিত দেশ এই দুর্বল ও ভঙ্গুর দেশ সমূহ থেকে সম্পদ লুণ্ঠন করে অতীতের মতই তাদের সাম্রাজ্য গড়ে তোলার চেষ্টা করবে। আর সম্পদ সমৃদ্ধ ও ভঙ্গুর দেশ সমূহ কোন গুলো?
এক কথায় উত্তর মুসলিম দেশ সমূহ !
সকল সম্পদে ভরুপুর এই দেশ সমূহ। যদি মুসলমানগণ নিজেদের সম্পদকে রক্ষা করার জন্য এখনি প্রস্তুতি নিতে শুরু করে তাহলে আগামীতে মুসলমানরাই হবে বিশ্বের অনুঘটক। আর যদি না পারে তাহলে আরও যে কত দিন মার খেতে হবে তা আল্লাহ জানেন।
৩। ধর্মকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিবে কারণ তথাকথিত আলেমদের অযাচিত কথা বার্তার কারণে ধর্ম ব্যাপকভাবে গ্রহণ যোগ্যতা হারাবে। একটি মাত্র টিকার কাছে হেরে যাবে দ্বীন। যদি এই সকল মহামারীর ইতিহাসের দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাই যে, খৃষ্টান ধর্ম কিভাবে মানুষের কাছে তার গ্রহণ যোগ্যতা হারিয়েছিল। যার ফলে মানুষকে দ্বীনের পথে দাওয়াত দেওয়ার ক্ষেত্রে যে ভাষা ব্যবহার করা হয় সেটাতে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে।
৪। শিক্ষাব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসবে। কারণ পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতিতে এই বেকার তৈরির কারখানা আর কেউ চালাতে চাইবে না। যার ফলে নতুন এক শিক্ষা ব্যবস্থা আসবে।
আসুন ঘরে বসে অন্যান্য বিষয়ের সাথে এই সকল বিষয় নিয়েও চিন্তা করি কই আযান দিল, কই কে গরুর মূত্র পান করল , কই থানকুনি পাতা পাওয়া গেল এই সব রোমান্টিক বিষয় বাদ দিলে বিশ্বকে ডকট্রিনাল দৃষ্টি কোন থেকে বিবেচনা করার জন্য করোনার পেছনে কি ঘটছে তা দেখার চেষ্টা করি।।
কারেন্সি যুদ্ধ নিয়ে লিখব যেটা কিনা আসল যুদ্ধ। আজকের লেখাটা অনেকের মাথার উপর দিয়ে যাবে কিন্তু ঘটনার পিছনের বিষয়টা আসলে এরকমই জটিল এবং হতবিহ্বলকর, কিছু করার নেই যদি কেউ না বুঝতে পারে। আজকের করোনা কিংবা লকডাউন অনেকদিনের প্রস্তুতির অংশ যেটা পুর্ব পরিকল্পিত একটি স্ক্রিপ্ট। এখানেও দুটি প্রতিপক্ষ যা সব সময়ই ছিল । 
এই দুই প্রতিপক্ষের শুরু সেই আদমের দুই সন্তান হাবিল আর কাবিলে কে দিয়ে। চেহারা আর আকৃতি বদল হয়েছে কিন্তু খেলোয়াড় সেই দুই । সবসময়ই তাই। দুই অদৃশ্য শক্তির লড়াই আর মানুষ হল সেই দুই শক্তির বাস্তব প্রতিনিধি বা Physical Appearance । এটাও একটা ফান্ডামেন্টাল ল জগতের।
কারেন্সী ওয়ার আসলে কি ? কিভাবে শুরু ? কারা এর খেলোয়াড় ?
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর এখন জেনে নিলে, পরে ঘটনাগুলো (ডটগুলো) সচেতন ভাবে জোড়া দিতে সুবিধা হবে এবং যা দিয়ে একটা পূর্নাঙ্গ চেহারা বানানো যাবে যা আমার উদ্দেশ্য ।
আমরা এখন যে কাগজের মূদ্রা ব্যবহার করি। তার আগে আরেকটি মু্দ্রার প্রচলন ছিল যেটা গত শতাব্দীতেও ছিল বেশকিছু স্থানে। 
৬ষ্ঠ শতাব্দীতে জন্ম নেয়া এই পুরাতন মূদ্রা একচেটিয়া ভাবে সারাবিশ্বে ১৯ শতাব্দী পর্যন্ত বিস্তার ছিল এবং এখনো আছে কিন্তু আড়ালে। তাহলে এই খেলায় পুরাতন একটি দল বা শক্তি আছে যারা এক পক্ষ আর একটা দল যেটা পৃথিবীর এখনকার সমস্ত কারেন্সী ( ৩টা দেশ বাদে…নাম গুলো পরে বলছি) এবং ব্যাংকিং একচ্ছত্রভাবে নিয়ন্ত্রন করে তাঁরা এক পক্ষ ।
 তাহলে আমরা দুইটা পক্ষ পেয়ে গেলাম । একটা পক্ষ পুরাতন আর একটা নতুন। এবার দেখে নেয়া যাক পুরাতন পদ্ধতি যেটা প্রায় দেড় হাজার বছর পৃথিবী জুড়ে রাজত্ব করেছে সেটা কেমন আর এখনকার কারেন্সী কেমন।
 কি এদের ব্যবধান আর এদের শত্রুতাই বা এতটা ভয়ঙ্কর কেন যার জন্য ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলারের যুদ্ধাস্ত্র দিয়ে মিলিয়ন মিলিয়ন অসহায় নিরীহ মানুষের উপর যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ভাইরাস দিয়ে গ্যাস দিয়ে মেরে ফেলাও মাছি মারার মতন ? এটা আসলেই কারেন্সী যুদ্ধ নাকি এর ভিতরেও অন্য কিছু আছে যার জন্য পরমাণু বোমা দিয়ে পৃথিবী ধ্বংস করতেও এরা পিছপা না ? ভিতরের বিষয়ে পরে আসি আগে উপরের টার আলোচনা শেষ করি ।
বলছিলাম দুই পক্ষের কারেন্সী যুদ্ধ টার স্বরূপ নিয়ে। আর এর পক্ষ নিয়ে । শুরু করছি প্রথম পক্ষ আর তাঁদের কারেন্সী সিস্টেম নিয়ে যেটা অলমোষ্ট ১৪০০ বছর পুরো দুনিয়া জুড়ে একচেটিয়া ব্যবহৃত হয়েছে। অনেকেই জানেনা কেন জিসাস (আ : ) কে ইহুদীরা মানেনি অথচ তিনি ইহুদীদেরই নবী ছিলেন। এই কারেন্সী যুদ্ধের শুরুটা এখান থেকেই। 
অনেকেই ভাবতে পারে আমি ইচ্ছা করেই ধর্ম টেনে আনছি কিন্তু ধর্ম যেখানে নিজেই ওতোপ্রতভাবে জড়িত সেখানে আমার কিছু করার নেই। জেসাস যেদিন নাজারন থেকে জেরুযালেমে প্রথম আসলেন তিনি দেখলেন আল আকসা মসজিদের ভিতর এলিট ইহুদীরা টেবিল সাজিয়ে বসে সুদের ব্যবসা করছে। জিসাস সেটা দেখেই টেবিল উল্টে দিয়ে বললেন এখন থেকে এসব আর চলবে না। সুদের ব্যবসা আজ থেকে চিরদিনের জন্য নিষিদ্ধ করা হল।
 এতে এলিট ইহুদীরা ক্ষেপে গেল। তাঁরা জিসাস কে শুধু অস্বীকার করেই ক্ষান্ত হয়নি তাঁরা জিসাসের বিরুদ্ধে যত রকম পথ আছে সব পথে ষড়যন্ত্র করতে লাগল। ইহুদীরা তখন ছিল রোমান দের কলোনী। রোমান গভর্নর Marcus Pontius Pilatus ছিলেন স্থানীয় শাসক। ইহুদীরা প্রথমে তার কাছে গিয়ে জিসাসের বিরুদ্ধে নালিশ করল যে, ভন্ড নবী জিসাস ইহুদীদের ভড়কাচ্ছে এই বলে যে তারা রোমানদের কে আর কর দেবে না।
 এখন রোমানরা যদি কর নিতে চায় তাহলে জিসাস কে শায়েস্তা করা লাগবে। রোমান গভর্নর সব কিছু খোঁজ নিয়ে দেখলেন যে যেসব ইহুদীরা নালিশ করেছিল জিসাসের বিরুদ্ধে তারা আসলে ডাহা মিথ্যাবাদী । সে যখন ইহুদীদের বলল যে তাঁদের কথা সঠিক নয় তখন এলিট ইহুদীরা আরো বেঁকে বসল এবং রোমানদের বিরুদ্ধে গন অসন্তোষ আর বিদ্রোহের হুমকি দিয়ে বসল। 
অবন্থা বেগতিক দেখে রোমান অফিসিয়ালরা ইহুদীদের দাবী মেনে নিল। এরপরের ইতিহাস মোটামুটি সবার জানা যে জিসাসের ভাগ্যে কি হয়েছে। জিসাস বা ইসা (আ:) শুধু নিষেধ করেছিলেন কিন্তু এর বদলে কোন ধরনের অর্থনীতি চালু হবে তার দিকনির্দেশনা তিনি দিয়ে যেতে পারেননি কিন্তু তিনি বলে গিয়েছিলেন ( দেখুন বাইবেল জন ১৬: ১২-১৬ ) যে, আমি তোমাদেরকে বাকী কিছু জানাতে পারলাম না কারন আমি বললেও তোমরা এখন বুঝবে না। আমি গেলে তাঁকে পাঠিয়ে দেব যে হবে সত্যের বাহক। সে নিজে থেকে কিছু বলবে না, সে যা শুনবে ( ওহি) তাই বলবে, এবং সে আমার প্রশংসা করবে। 
এরপর আরও ৫০০ বছর চলে গেছে কিন্তু জিসাস যার কথা বলেছিল সে আসেনি। মানুষ ইহুদীদের সুদভিত্তিক অর্থনীতিকেই মেনে চলেছে উপায় না দেখে। এইটুকু পর্যন্ত এখন মনে রাখলেই হবে। এতক্ষন পর্যন্ত ১৫০০ থেকে ২০০০ হাজার বছর মানে মোট ৫০০ বছরের গল্প বললাম। এবার আরো পিছনে যাই। তাহলে আমি যে ছবি টা আঁকছি সেটা আরো পরিস্কার হবে। পরে আবার এখানে ফিরে আসব। এবং বাকি গল্প এখান থেকেই শুরু করে শেষ করব।
যদি বলি এই যুদ্ধটা আসলে ৬ হাজার বছরেরর পুরোনো তাহলে হয়ত অনেকেই বিশ্বাস করবে না। কিন্তু এখনকার যুদ্ধের শুরু কিন্তু আসলেও তাই। শুধু চেহারা বদলে গেছে ।
মায়ান অধিবাসীরা খুব জ্ঞানী ছিল যাদের প্রায় ৫ হাজার বছরের পুরনো সভ্যতা যা স্পেনীয় রা পুরোপুরি ধ্বংস করে দেয়। সেই মায়ানদের একটি ক্যালেন্ডার ছিল যেখানে ৬ হাজার বছরের হিসাব দেয়া ছিল। ক্যালেন্ডার ২০১২ সাল অবধি এসে থেমে গেছে।
 এরপর আর নেই। কারন তারা বিশ্বাস করত প্রতি ৬ হাজার বছর পর পৃথিবী আরেকটা নতুন সিস্টেমে নতুন ভাবে শুরু হবে। শেষ নবী মোহাম্মদ (সা : )এর অনেক হাদিস আছে যা এরকমই ইঙ্গিত দিয়েছেন আরো বিস্তারিত ভাবে। হিন্দুদের পুরানে ও সব যুগ কে ৪ ভাগে ভাগ করে দেখানো হয়েছে যেটা অনেকেই জানে। সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর, কলি । সত্য যুগে সত্য ১০০ ভাগ বিজয়ী হবে। 
ত্রেতা যুগে সত্য ৭৫% জয়ী হবে আর মিথ্যা জয়ী হবে বাকি ২৫% * ( দুই পক্ষের ফাইট শুরু), দ্বাপর যুগে ৫০%-৫০% । আর কলি যুগে বা অন্ধকার যুগে মিথ্যা ৭৫%-১০০% জয়ী হবে। আর এটা কলি যুগের শেষ ধাপ বা শেষ কিনারা। কারো যদি সন্দেহ কিছু থাকে তাহলে আসে পাশে একটু নজর দিলেই পরিস্কার হয়ে যাবে কিভাবে মিথ্যাকে সত্য বলে চালানো হচ্ছে আর অযোগ্যরা যোগ্য দের ডমিনেট করছে। উদহারন হাজারটা দিয়ে লেখা লম্বা করার দরকার নেই যারা বুঝদার তাঁরা বুঝে গেছে।
এতো গেল স্পিরিচুয়াল ফাইট এবার আসি বস্তুবাদে। যারা জানে না তাঁদেরকে বলে দেয়া ভাল যে কোন কিছুর ফিজিক্যাল এপিয়ারেন্স হওয়ার আগে তার স্পিরিচুয়াল এপিয়ারেন্স জরুরী। এটা আরেকটা ল এই জগতের। উদহারন হিসেবে বলা যায় আমরা যখন কোন কাজ করি তখন তার আগে চিন্তা করি।
 এই যে চিন্তা বা মনোজগতে কোন কিছু সাজানো সেটাই স্পিরিচুয়াল এপিয়ারেন্স। দুই পক্ষের আসল যুদ্ধটা আসলে এইখান থেকেই শুরু। কোয়ান্টাম সাইন্স বলে বস্তুজগত হল শক্তি বা এনার্জির লো ভাইব্রেশন। বস্তুজগত বলে আসলে কিছু নেই। পুরোটাই ইলুশন বা মায়া। পুরো জগতটাই এনার্জি বা শক্তি । শক্তির নিত্যতার সূত্র অনুযায়ী শক্তির সৃষ্টিও নেই ধ্বংসও নেই শুধু রূপ পরিবর্তন হয়।
এক্সারসাইজ করলে কি লাভ আর না করলে কি ক্ষতি সেটা কম বেশী সবাই জানে। কিন্তু মেডিটেশন, নামাজ, ইয়োগা অথবা জিকির না করলে কি হবে সেটা বলছি। আগেই বলেছি করোনা ল্যাবে বানানো একটি বায়ো উয়েপন। এটা এমনি এমনি বানিয়ে বাজারে ছেড়ে দেয়নি। বা এটাই শেষ অস্ত্র নয় যেটা আমাদের উপর প্রয়োগ করা হবে।
এবার মুল আলোচনায় যাওয়া যাক আসলে আক্রমনটা কি উদ্দেশ্যে এবং কিভাবে ও কোথায় কোথায় এর নিশানা। এই তিনটা প্রশ্নের উত্তর যতটা সংক্ষেপে এবং সহজভাবে দেয়া যায় তার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব। তবে আগেই বলে নেয়া ভাল। 
এই জগতটা আমরা যেভাবে দেখি সেটা মোটেও এরকম না। এখানে প্রতিটি বস্তু, প্রতিটি অনু পরমানু, প্রতিটি ঘটনা একে অপরের সাথে অঙ্গাঅঙ্গী ভাবে জড়িত। সেপারেটনেস বা ইন্ডুভিডিয়ালিজম হল ইলুশন। যারা নিজেদের আলাদা ভাবে সবার থেকে, তাঁরা হল এই পৃথিবীর সবথেকে নিম্নশ্রেণীর আহাম্মক। আর এই জগতকে ভুল ভাবে দেখার খেসারত হল আমাদের এত কষ্ট, এত অশান্তি।
 এক কথায় বলতে গেলে ৯৯.৯৯% ভাগ মানুষই চিরকাল অজ্ঞতায় বসবাস করে। খুব সৌভাগ্যবান তাঁরা যারা এই অজ্ঞতার বাইরে বসবাস করে বা যারা অন্তত এটুকু বুঝতে পারে যে, সামথিং ইজ রং এবং খোঁজ করে এই ইলুশনের বাইরের পথ। বলা বাহুল্য যে আমার সব লেখাই তাঁদের জন্য যারা seeker বা ‘’খোঁজক’’ এবং ওপেন মাইন্ডেড বা ‘’ দেখক ’’। 
আমি চাইনা এমন কেউ আমার লেখা পড়ুক যারা কুসংস্কারে আচ্ছন্ন বা লিমিটেড মাইন্ডেড বা “ মোদক”( যারা দুনিয়ার নেশায় আচ্ছন্ন) । কিছুই বুঝবে না উল্টা বিতর্ক করবে। নবী রাসুল এদের সাথে পারেনি তো আমি কোথাকার হাতি ঘোড়া।
এই মহাবিশ্ব একটি একক সিস্টেমে চলে। অনেকটা অপারেটিং সিস্টেমের মত। বেশীর ভাগ মানুষই ইউজার কিন্তু যারা প্রোগ্রামার তাঁরা সিস্টেম যেমন Hack করতে পারে তেমনি স্বাধীনভাবে প্রোগ্রাম লিখে নিজের মত করে অপারেট করতে পারে। 
৯০ এর দশকের শুরুতে যখন কম্পিউটার হাতে এলো তখন আমরা কম্পিউটার চালাতে DOS এ প্রোগ্রাম লিখে কম্পিউটারে ঢুকতাম, পরে বিল গেটস আপল এর ইন্টারফেস ডিজাইন নকল করে ইউজার ফ্রেন্ডলি অপারেটিং সিস্টেম বানালো মানে ক্লিক করেই ভিতরে ঢুকে কাজ করার ইন্টারফেস যেটা আমরা সবাই এখন ইউজ করি। 
অনেকটা তেমনি এই মহাবিশাল কল্পনার অতীত মহাবিশ্বও একটি একক অপারেটিং সিস্টেমে চলে। কম্পিউটার যেমন hardware and software এর কম্বিনেশনে চলে এই মহাবিশ্ব তেমনি দৃশ্যমান এবং অদৃশ্যমান এর কম্বিনেশন।
 দৃশ্যমান জগত অদৃশ্যমান জগতের এক ভাগ। বাকি ৯৯ ভাগ জগতই অদৃশ্য বা আমাদের দৃষ্টিসীমার বাইরে। তার মানে এই না যে যা দেখিনা তা নেই। এর মানে এই যে দৃশ্যমান গ্রহ, নক্ষত্র, গ্যালাক্সি সবকিছু বস্তুভরের মাত্র এক ভাগ এবং বাকি ৯৯ ভাগ অদৃশ্য। এবার দেখে নেয়া যাক বস্তুজগত বলে যে জগতে আমরা বসবাস করছি সেটার আসল স্বরূপ কি? বিজ্ঞান কি বলে আর নবী রাসুলের বা অবতারদের শিক্ষা কি বলে ?
কোয়ান্টাম সাইন্স হল সাইন্সের সবথেকে আধুনিক আবিস্কার যা নেচারাল ফিজিক্স এর সব সূত্রকে উল্টে দিয়ে বিজ্ঞানীদের চুল ছিড়তে বাধ্য করেছে এবং করে যাচ্ছে এবং আগামীতেও করবে। কোয়ান্টাম সাইন্স বলে, বস্তুজগত বলে কিছু নেই। 
পুরোটাই ইলুশন। এনার্জির সবথেকে লো ভাইব্রেশনটাই হল বস্তুজগত। এবার দেখি ধর্ম কি বলে। আমরা যদি সনাতন ধর্মের পুরাতন সংস্করনে যাই তাহলে দেখব সেখানে বলা আছে পুরা জগতটাই মায়া, ভ্রম। এবার দেখি সনাতন ধর্মের সবথেকে আধুনিক ও সবশেষ সংস্করন কোরআনে কি বলা আছে।
 অনেকে হয়ত নাক সিটকাবে যে ইসলামকে সনাতন ধর্মের আধুনিক ও সবশেষ সংস্করন কেন বলছি। সুরা রুম ৩০-৩০ আয়াত পড়ে নিন। তারপরেও না বুঝলে কিছু করার নেই। পরে হয়ত কোনদিন বুঝিয়ে লিখব যদি মুড আসে কিন্তু এখন এই পেঁচালে যাবার মোটেও ইচ্ছা নেই।
তো মহান সৃষ্টিকর্তা তাঁর সবশেষ কিতাবে বলেছেন, “দুনিয়ার জীবন ধোঁকা ছাড়া কিছু নয়।“ ( ৩:১৮৫) তিনি আরও বলেছেন,
আমি সৃষ্টি করেছি মানুষকে সুন্দরতর অবয়বে। [ সুরা তীন ৯৫:৪ ]
ثُمَّ رَدَدْنَاهُ أَسْفَلَ سَافِلِينَঅতঃপর তাকে ফিরিয়ে দিয়েছি নীচ থেকে নীচে। [ সুরা তীন ৯৫:৫ ]
তাহলে কি মিলল এবং প্রমান কি হল কোয়ান্টাম সাইন্সের সবশেষ জ্ঞান এর সাথে হাজার হাজার বছরের পুরাতন জ্ঞানের? এখানে নীচ থেকে নীচে মানেই বস্তু জগত। যেটা এনার্জির লো ভাইব্রেশন । তো কথা উঠতে পারে কোয়ান্টাম সাইন্স তো বলে বস্তজগত বলে কিছু নেই পুরোটাই ইলুশন এবং আমাদের কোন অস্তিত্ব নেই ? অস্তিত্বে শুধু একটাই চেতনার অস্তিত্ব। শুধুই এনার্জি বা শক্তি।
 এবং শক্তির নিত্যতার সূত্র অনুযায়ী শক্তির জন্মও নেই ধ্বংসও নেই শুধু রূপ পরিবর্তিত হয়। তাহলে ধর্ম কি বলে,? রাসুল ( সা: ) এক হাদিসে বলেছেন, “মানুষ সবাই ঘুমাচ্ছে, তাঁরা সেইদিন জাগবে যেদিন তাঁদের মৃত্যু হবে।“ এই একটি হাদিসের উপলব্ধী যার হবে তাঁর জীবন আমুল বদলে যাবে। আমি খুবই অল্প করে বুঝিয়ে দিচ্ছি নাহলে হজম হবে না বা কেউ নিতেও পারবেনা চরম সত্য। এইটা জীবনের সবথেকে বড় বিস্ময় এবং সত্য। মৃত্যু যেমন চরম সত্য কিন্তু আমরা কেউই তা মেনে নিতে শিখিনি এটাও তেমনি।
যখন আমরা স্বপ্ন দেখি তখন কোন বাঘ যদি আমাদের তাড়া করে তখন আমরা দৌড়াই, যদি আমাদের কামড়ে দেয় তখন আমরা পেইন ফিল করি এমন কি ব্যাথায় কান্নাকাটিও করি।
 এমনকি কান্নার দমকে বিছানা বালিশ ভিজিয়ে ফেলি, কান্নার দমকে ঘুম ভেঙে যায়। কিন্তু ঘুম ভাঙা মাত্রই বুঝে ফেলি. ওহ ওইটা একটা স্বপ্ন ছিল। তারপর আবার পাশ ফিরে ঘুমিয়ে পড়ি। না স্বপ্নের জন্য টেনশন থাকে না পাত্তা দেয়ার টাইম থাকে। 
কিন্তু যখন আমরা স্বপ্ন দেখি তখন পৃথিবীর কোন মানুষ কি একবারো বুঝতে পারে যে ওই বাঘের কোন অস্তিত্ব নেই ! আর বাঘ আমাকে কামড়েও দিচ্ছে না তাড়াও করছে না, তাই পেইন অনুভব করার কোন কারন নেই বা দৌড়ানোর দরকার নেই! না পৃথিবীর কেউ এটা বুঝতে পারে না যখন স্বপ্ন দেখে। আমাদের এই যে জীবন এটাও স্বপ্ন। কিন্তু আমাদের বোঝার সাধ্য নেই। কারন আমরা ঘুমিয়ে আছি। রাসুল (সা: ) আরো বলেছেন, “মরার আগে মরে যাও”। মানে মৃত্যু আসার আগেই জেগে ওঠো। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন, তোমরা আত্মসমর্পণকারী (মুসলিমনা হয়ে মৃত্যুবরণ করো না (৩:১০২ )।
আরবী শব্দ “মুসলিম” এর অর্থ “যে আল্লাহর ইচ্ছার কাছে আত্মসমর্পনকারী” । কোন মুসলিম পরিবারে জন্ম নিলেই সে মুসলিম নয় বা কারো আরবী নাম মুসলিম হবার কোন শর্ত নয় যতক্ষন না সে আল্লাহর কাছে বা আল্লাহর আইনের কাছে বা প্রকৃতি যেমন তাওহিদে বসবাস করছে বা submission form আছে সেরকম ভাবে জীবন যাপন না করে। মানে নিজের নফস বা ইগোকে পুরোপুরি কতল করার নামই ইসলাম। এবং যারা করে তারা সবাই মুসলিম। এ কারনে যারা যোগী বা সেইন্ট বা সুফী যেই হোক না কেন সে যে জায়গারই হোক না কেন যে ধর্মেরই হোক না কেন সবাই মুসলিম। কারন তাঁরা সবাই আত্নসমর্পনকারী। বছরের পর বছর ধরে কঠোর সাধনার দ্বারা মৃত্যুর আগেই মৃত্যু বরন করে নিয়েছে। আর এই সিস্টেম এই আইন পৃথিবীর আদিকাল থেকেই চলে আসছে। কোন আরবীয় বা ভারতীয় বা মিশরীয়দের জন্য বিশেষ বরাদ্দ নেই। এক শ্রেণীর তথাকথিত সুশিক্ষিত নিম্ন জ্ঞানের বলদ আছে যারা জাত পাত দেশ ভাষা নিয়ে বাগাড়ম্বর করে অথচ কোরআনে এসব লোকদের মুখে ঝামা ঘষে দিয়েছে।
এখন আসি সাবমিশন ফরমে না গেলে কি হবে। রাসুল (সা: ) বলেছেন, যে এপারে অন্ধ সে ওপারেও অন্ধ । মানে এই ইলুশনের জগত থেকে সে কোনদিন মুক্তি পাবে না। কেন পাবেনা? কারন সে নিজেই এই ইলুশন কে ভালবেসেছে তাই। যে যা ভালবাসবে হাশর তার সাথেই হবে।
 আর আল্লাহ কারো ব্যাক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেনা। এই নফসকে আত্নসমর্পন না করানোর নামই হল শিরক। আল্লাহ বলেছেন তিনি চাইলে সব অপরাধ ক্ষমা করে দিবেন কিন্তু শিরক ক্ষমা করবেন না। কেন?
এবার আসি এতবড় ভুমিকা কেন দিলাম ? করোনা বা কারেন্সী ওয়ারের সাথে এর কিসের লেনদেন?
আগেই বলেছিলাম করোনা একটা যুদ্ধাস্ত্র এবং এটা আমাদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। এবং আগেও বহু বহু বার এরকম হয়েছে কিন্তু যারা করেছে তাঁরা ধরাছোয়ার বাইরে থেকে গেছে সবসময়। যারা Black Magic এর বিষয়ে অল্প বিস্তর জানে তাঁরা সহজে বুঝে যাবে এই জ্ঞানটা হল নিষিদ্ধ জ্ঞান এবং এরাই হল সেই programmer যাদেরকে আল্লাহ তাঁর সিস্টেমকে সীমিতভাবে hack করার সুযোগ ও স্বাধীনতা দান করেছেন। আর আমাদেরকেও উনি দিয়েছেন সর্বোচ্চ জ্ঞান যা দ্বারা আমরা শুধু এইসব hacker কে প্রতিহত নয বরং পুরো universal operating system কে অপারেট করতে পারি এবং নিজের ইচ্ছামত programme করতে পারি। 
এবং আদম সৃষ্টির শুরুতেই আল্লাহ ফেরেস্তাদের বলেছেন , “ আমি দুনিয়ায় খলিফা বা প্রতিনিধি সৃস্টি করতে যাচ্ছি। এই খলিফা মানেই হল মানুষ এবং খলিফা মানেই হল এই মহাবিশাল সিস্টেমকে শুধু ইউজ বা অপারেট করাই নয় বরং নিজের মত করে নিজের জান্নাত বা সিস্টেম বানিয়ে নেওয়া ক্ষমতার অধিকারী।
কেউ কি কখনো দেখেছে যে চাঁদ, সূর্য ভিন্ন দিক থেকে উদয় হতে ? বা দেরী করে আলসেমি করতে ? কিংবা পানিকে তাপ দিলে পানি বাস্প না হয়ে পানি হয়েই বসে থাকতে? অথবা কাঠাল গাছে আম ধরতে? অথবা নদীর পানি উজানে বইতে ? অথবা গাধা হাতির বাচ্চার জন্ম দিতে? না এটা কেউই দেখেনি। 
কারন সব কিছু তার নির্ধারিত ব্যবস্থায় চলমান। কারো তার নির্ধারিত ব্যবস্থার বাইরে যাবার এক চুল সম্ভাবনা নেই। আর এটাকেই কোরআনের ভাষায় বলে ‘তাওহীদ’। জগতের সবকিছুই submission form এ আছে । এটাকেই বলে Oneness. শুধু মানুষের খুবই সীমিত ইচ্ছাশক্তি আছে, ( এটাও একটা ইলুশন) চাইলে সে Submission form এ থাকতে পারে বা Oneness এ মিশে যেতে পারে বা ডুয়ালিটি বা শিরক এ বসবাস করতে পারে। মোল্লারা যেটাকে শিরক বলে সেটা খুবই সস্তা এবং স্হুল। বস্তুত, নিজের ইচ্ছাতে চলাটাই শিরক। বা যতদিন নফস বা ইগোকে সে আত্নসমর্পন না করাবে ততদিন সে শিরক এ ডুবে থাকবে।
তাহলে এটা দাঁড়াল যে, এই জগত যেটাকে আমরা ধ্যান জ্ঞান মনে করছি তাঁর পুরোটাই ধোঁকা । আর এই ধোঁকাটাই হল সবথেকে বড় পরীক্ষা। এই ধোঁকা কবে থেকে শুরু ? সে অনেক পুরাতন গল্প। 
কিন্তু এই ধোঁকাতে যাতে আমরা আটকে থাকি তার জন্য একটা শক্তি অনেক দিন ধরেই কাজ করছে। আর একটা শক্তি আছে যেটা আমাদের আহবান করছে এই ধোঁকা থেকে বের হবার জন্য । যে শক্তি আমাদেরকে আটকে রাখছে সে শক্তিটাই হল Hacker । এই শক্তিটাকে অনেকেই Black Magic বলে জানে।
 এখন যে সংস্করন চলছে এইটা মোটামুটি ৫ হাজার বছরের পুরাতন বিদ্যা । ডেভেলপ হইতে হইতে বিশাল মহিরূহ হয়ে গেছে। বেশ কিছু মানুষ আছে যারা এই শক্তির প্রতিনিধিত্ব করছে। এদের পরিচয় আমি আরকেটি লেখাতে লিখব । এখানে শুধু এটাই বলব। টোটকা না মানলে কি হবে।
করোনার পর আসবে ৫জি টেকনোলজি এবং এআই টেকনোলজি বা আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স ।
 ৫জি একটা মিলিটারী ওয়েপন। এর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য এতই ছোট যে এর frequency আমাদের Brain যে frequency ইউজ করে তার সাথে মিলে যায়। মিললে কি হবে? একটা ৫জি টাওয়ারের আওতার ভিতর যত মানুষ বসবাস করবে তাঁদের মেন্টাল সিচুয়েশন নিয়ন্ত্রন করা ডাল ভাতের মতন হয়ে যাবে। যেমন উদহারন দিচ্ছি, একটা সিলেকটেড এরিয়ার মানুষদের কে খুব সহজে frequency এর মাধ্যমে উত্তেজিত করা যাবে। ওই মানুষগুলো বিনা কারনে কেন উত্তেজিত হবে তাঁরা নিজেরাই বুঝতে পারবেনা। 
কেউ গাল দিলে বা বাজে বিহেভ করলে সাধারনত আমরা উত্তেজিত হই কিন্তু এক্ষেত্রে সেরকম কিছুই ঘটবে না কিন্তু মানুষ উত্তেজিত হয়ে রায়ট, ভাঙচুর, সুইসাইড, যুদ্ধ যেকোন কিছুই করা সম্ভব। চায়না কোম্পানী হুয়াওয়ে পৃথিবীর নাম্বার ওয়ান ৫জি টেকনোলজি প্রোভাইডার এবং বিশ্বের বেশীরভাগ দেশের সাথেই অলরেডী এই কোম্পানীর চুক্তি হয়ে গিয়েছে। ট্রাম্প নি:সন্দেহে পাগল কিন্তু এক্ষেত্রে সে হুয়াওয়ে কে ঠেকানোর জন্য হুয়াওয়ে কে BAN করে শেষ রক্ষা করার চেষ্টা করেছে। 
এবং ইউরোপের দেশ গুলো থেকে হুয়াওয়েকে বের করে দেবার জন্য হুমকি ধামকি অব্যাহত আছে। কিন্তু আমেরিকা এখন নিজেই করোনার সবথেকে বড় হামলার শিকার অতএব হুয়াওকে বা চীনকে ঠেকানো সম্ভব না এই মুহুর্তে। এবং এই টেকনোলজি চীনের হাতেও শেষ অবধি থাকবে না। সে আরেক গল্প।
মোদ্দা কথা হল। যারা নিজেদের ভাইব্রেশনকে হাই রাখতে সচেষ্ট হবে মেডিটেশন, ইয়োগা, নামাজ, জিকির দ্বারা তাঁদের সামনের দিনের টিকে যাবার সম্ভাবনা বেশী। সারভাইভাল ফর দি ফিটেষ্ট মানে যোগ্যরা টিকে যাবে আর অযোগ্যরা ভেড়ার পালের অংশীদার হবে। যাদের কাছে এটা গালগপ্প মনে হচ্ছে তাঁরা HAARP সম্পর্কে google search দিয়ে দেখতে পারে যে টেকনোলজি দিয়ে কিভাবে আবহাওয়ার পরিবর্তন করা হচ্ছে দেড় দশক ধরে। কেন Chemtrail ছড়ানো হচ্ছে পৃথিবীর উপরের বাতাসে।
 যেটা হল BA & AL. এই দুটো হল বেরিয়াম আর এলুমিনিয়ামের সাংকেতিক নাম। এবার এই দুটো যোগ করলেই হয় BAAL আর এই BAAL হল সেই শয়তানের মুর্তির নাম যার পুজা তারা করে আজ ৬ হাজার বছর ধরে। ওয়াশিংটন ডিসির হোয়াইট হাউসের সামনে, ভ্যাটিকানে, ইংলন্ডে, ফ্রান্সে, মিশরে যে ওবেলিস্ক ( খাড়া সিমেন্টের টাওয়ার) আছে সেটাই হল BAAL এর লিঙ্গ।
 এই লেখাতে শুধু এটুকুই লিখলাম কেন এখন থেকে কিভাবে নিজেকে প্রস্তুত রাখতে হবে কারন শত্রু এখানে অদৃশ্য। লেখাটা বড় না করলে সামনের ছবিটা ভয়াবহতা বা গুরুত্ব বোঝানো কষ্টকর হয়ে যেত। কারো যদি বুঝতে কষ্ট হয় বা কোন প্রশ্ন থাকে তবে নক করলেই হবে আমি চেষ্টা করব উত্তর দিতে। এরপর থেকে কারেন্সী ওয়ারে বাদ বাকী লিখব।

No comments:

Post a Comment